fbpx

দাম কমবে যেসব পণ্যের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত পণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পণ্যের ওপর করহার কমানো হয়েছে।

এক নজরে দেখা যাক, বাজেটে কোন কোন পণ্যে শুল্কহার এবং দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রীতে শুল্কহীন করার সুযোগ আগেই দেওয়া হয়েছিল। এবার করোনা শনাক্তের আরটি-পিসিআর কিট তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

২. দেশে উৎপাদিত গৃহস্থলি পণ্যে মূল্য সংযোজন কর বা আগাম কর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দৈনন্দিক কাজে প্রয়োজনীয় গৃহস্থলি পণ্য যেমন, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সচার, গ্রাইন্ডার, ইলেকট্রিক কেটলি, রাইসকুকার, মাল্টি কুকার, প্রেশার কুকার, সিসিটিভি,  ইত্যাদি পণ্যে বিদেশি নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশে উৎপাদনের উপর গুরুত্বারোপ করতেই করমুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

৩. স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে যেসব ন্যাপকিন উৎপাদিত হয়, সেসক ন্যাপকিনের সমুদয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে আমদানিকৃত কাঁচামালে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও দুই বছর থাকবে বলে জানানো হয়। এরইসাথে দাম কমবে ডায়াপারের।

৪. দেশে উৎপাদিত স্যানিটারি পণ্যের সম্পূরক কর তুলে নেওয়া হয়েছে। এতে করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আর দিতে হবে না দেশে উৎপাদিত লং প্যান তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আনার জন্যে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

৫. অটিজম সেবার ওপর শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এ বছরের বাজেটে। মেডিটেশন সেবা আরও এক বছর শুল্কমুক্ত থাকবে।

৬. ইস্পাতের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। টনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

৭. মুরগি ও মাছের খাবার এবং এসব উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে করে মাছ, মুরগি, গবাদিপশু ও অন্যান্য গৃহপালিত পশু-পাখির খাবারের দাম কমবে।

৮. ক্যানসারের ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালে আবার শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানে ক্যানসারের ওষুধ উৎপাদনে ব্যয় কমবে। একইসঙ্গে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

৯. মেডিকেল যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

১০. দেশে এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

১১. দেশে খেলনা উৎপাদনে উপকরণ আমদানিতেও দেওয়া হয়েছে রেয়াতি সুবিধা।

১২. কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবায় ব্যবহার করা ব্লাড টিউবিং সেটের কর কমানো হয়েছে।

১৩. মুড়ি উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট এবং তাজা ফলের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

১৪. বেশকিছু কৃষি উপকরণের ওপর মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে উইডার (নিড়ানি), উইনোয়ার (ঝাড়াইকল) জাতীয় কৃষিকাজে ব্যবহৃত পণ্য কেনার খরচ কমবে।

১৫. দেশে উৎপাদিত এবং বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ পণ্যের দাম নাগালে রাখতে দেশি শিল্পে রাজস্ব ছাড় দেয়া হচ্ছে এবারের বাজেটে। এর ফলে আমদানি করা পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেলের চেয়ে দেশে সংযোজিত মোটরসাইকেলের দাম কমবে। দাম কমবে গাড়ির যন্ত্রাংশেও।

এছাড়া, স্টোইনলেস স্টিল, ফয়েল পেপার, অ্যালুমিনিয়ামের তার, হেডফোন, পাউরুটি ও কেকের দাম কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দাম কমছে নির্মাণ সামগ্রীর। এসব সামগ্রীর মধ্যে ইট, বালি , রড ও সিমেন্ট জাতীয় সামগ্রীর দাম কমেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply