প্রায় সাড়ে তিন মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। আর বছরের প্রথম দিন থেকেই হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। এরই প্রভাবে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে কমেছে পেঁয়াজের দাম। একইসঙ্গে নতুন আলুর দামও ক্রেতাদের নাগালের মাঝে এসেছে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
অন্যদিকে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ক্রেতাদের নাগালের মাঝেই পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমসহ বাকি সব সবজি। বেশিরভাগ শীতকালীন সবজি ৩০ টাকা কেজি দরের মধ্যে মিলছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। একই সঙ্গে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও উঠেছে। ফলে দামও কমেছে আগের চেয়ে। গেল সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে এখন পেঁয়াজের কমতি নেই। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভালো মানের নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে ভরপুর আসছে। এছাড়া ভারতও রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আর নতুন আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরও কমবে।
এদিকে নতুন আলুর দাম আরও কমেছে। গেল সপ্তাহে এর দাম ছিল কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর আর এখন এর দাম কমে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
তবে পুরনো আলুর দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিমের দাম বাড়লেও অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে । ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। মুলা কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় লাউ ৪০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে এখনো চড়াও পাকা টমেটো ও বরবটির বাজার। পাকা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ আর বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় সাধারণ মানুষের নাগালে এসেছে এই সবজি বাজার। এখন সাশ্রয়ী দামেই ক্রেতারা শিম, আলু, ফুলকপি, লাউ, বাঁধাকপি কিনতে পারছেন। তবে টমেটো ও গাজরের দাম একটু চড়া। কিছুদিনের মধ্যেই তা নাগালের মাঝে আসবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।
