fbpx

দাম বাড়ল ডাল ও মিল্ক ভিটার দুধসহ দুগ্ধজাত সব পণ্যের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডাল-ভাত ছাড়া বাঙালির প্রতি বেলার খাবার যেন অপূর্ণই থাকে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের খাবারের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ডাল। এছাড়া পুষ্টিগুণের দিক থেকে এটি সুষম খাদ্যও বটে। তাই এই খাদ্য উপাদানের চাহিদাও ব্যাপক।

তবে গরিবের এই খাবারের দামও এবার আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার তালিকায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল অ্যাংকর, যা নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ডাল নামে পরিচিত। বুটের মতো দেখতে এই ডাল সাধারণত আমদানি করে বাজারে ছাড়া হয়। সকালের নাশতায় হোটেল, রেস্তোরা বা ফুটপাতের দোকানগুলোতে এই ডাল ব্যাপক জনপ্রিয়। এছাড়া পেঁয়াজু ও বেগুনির উপকরণ বেসন তৈরি হয় এই ডাল থেকে। এটিই বাজারের সবচেয়ে সস্তা দামের ডাল।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি অ্যাংকর ডালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) একই তথ্য দিচ্ছে।

টিসিবি বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল ৫৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা মাসখানেক আগে ছিল ৫৫-৬০ টাকা। অর্থাৎ সরকারি হিসাবেই এক মাসে এই ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে খুচরা বাজারের দাম টিসিবির তালিকার চেয়ে ৫ টাকা বেশি, অর্থ্যাৎ ৭৫ টাকা কেজি। টিসিবির হিসাবে এক বছর আগের তুলনায় অ্যাংকর ডালের দাম এখন ৩৯ শতাংশ বেশি।

শুধু অ্যাংকরই নয়, বাজারে অন্য ডালের দামও চড়া। সপ্তাহ দুয়েক আগে মসুর ডালের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছিল।

টিসিবি’র হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি সরু, মাঝারি ও চিকন দানার মসুর ডালের সর্বোচ্চ দাম যথাক্রমে ১১০, ১৩০ ও ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। এছাড়া রাজধানীর মগবাজার ও কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি ছোলার ডাল ৮০-৮৫ টাকা ও খেসারির ডাল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকান ও খুচরা বাজারে সব ধরনের ডালের দামই কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশি।

এদিকে আরেক সুষম খাদ্য দুধেরও দাম বেড়েছে। দুধসহ দুগ্ধজাত প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড—মিল্ক ভিটা।

কর্তৃপক্ষের দাবি, প্যাকেজিং সামগ্রী, গো-খাদ্যসহ সহায়ক সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা দুধ ও দুগ্ধজাত অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।

বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান পাস্তুরিত তরল দুধ, টোল্ড মিল্ক, ফ্লেভার্ড মিল্ক, ঘি, মাখন, ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ, ননিবিহীন গুঁড়া দুধ, মিষ্টি দই, টক দই, রসগোল্লা, সন্দেশ, চিজ, কেকসহ ২২ ধরনের পণ্য বাজারজাত করে।

জানা গেছে, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধে ৫ টাকা দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ টাকা। আধা লিটারের প্রতি প্যাকেট দুধের দাম ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, ২৫০ মিলিলিটারের প্যাকেটের দাম ২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছে। তবে ২০০ মিলিলিটারের প্যাকেটের দাম আগের মতোই ২০ টাকাই আছে বলে জানিয়েছেন মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. মইনুল হক চৌধুরী।

দুগ্ধজাত নানা পণ্যের দামও বেড়েছে।  প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম ১ হাজার ১৮০ টাকা থেকে হয়েছে ১ হাজার ৩২০ টাকা, এক কেজি মিষ্টি দইয়ের দাম ১৯০ টাকা থেকে ২১০ টাকা, এক কেজি টক দইয়ের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭৫ টাকা।

মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মইনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বাজারের আর সব ব্র্যান্ডের দুধের দাম আগে থেকেই বাড়ানো হয়েছে। গো-খাদ্য, প্যাকেজিংয়ের মূল্য, পরিবহন খরচসহ সবকিছুতে খরচ বেড়েছে। তাই আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply