Advertisement
মুখে দাড়ি থাকার কারণে বাংলাদেশের জনপ্রিয় রিটেইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ে চাকরি পাওয়া থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, এমনটা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও আপলোড করেন ইমরান হোসেন ইমন নামের এক যুবক।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে আড়ংয়ের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় একদল বাসিন্দা।
পরে এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে আড়ং কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় ইমরান হোসেন ইমন আড়ংয়ে বিক্রয়কর্মীর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় সাক্ষাৎকার দিলেও পরবর্তীতে মাস্ক খুলতে বলেন সাক্ষাৎকারগ্রহীতা। তাদের নীতিমালা অনুযায়ী দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না বলে জানানো হয় চাকরিপ্রার্থী ইমনকে।
‘আপনি যদি ক্লিন শেভ করতে পারেন আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করতে পারবো’, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা এমন অফার দিয়েছেন বলে ভিডিওতে দাবি করেন ওই যুবক।
ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর বহু মানুষ এটিকে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এবং তারা ‘বয়কট আড়ং’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন।
এদিকে সিলেট আড়ংয়ের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সিলেটের সচেতন আলেম সমাজের ব্যানারে একদল স্থানীয় অধিবাসী।
তাদের একজন মুখপাত্র শাহ মোমশাদ আহমেদ বলছেন, তারা বিক্ষোভ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে আছে দাড়ি রাখা নিয়ে আড়ংয়ের যদি কোন নীতিমালা থাকে সেটা পরিবর্তন করতে হবে, চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং এই ঘটনার জন্য সুস্পষ্টভাবে ক্ষমা চাইতে হবে, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে আড়ং এ ঘটনায় দুঃখজনক উল্লেখ করে এক বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে ব্র্যাক-আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, ‘এটি নিঃসন্দেহে আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী। আড়ং বয়স, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, অক্ষমতা বা জাতিগত উৎস নির্বিশেষে সকলের জন্য মানবিক মর্যাদাএবং অন্তর্ভুক্তির অধিকারগুলো সমুন্নত রাখে। আমাদের নিয়োগের সিদ্ধান্তে ধর্মীয় বিশ্বাস ও পালনকে কখনই বিবেচনা করা হয় না।‘
আমাদের ভবিষ্যতের ইন্টারভিউ বোর্ডগুলোর পরিচালনায় আমাদের মূল মূল্যবোধগুলোর প্রতিফল নিশ্চিত করতে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করবো বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
Advertisement