fbpx

দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

লিচুর রাজ্য দিনাজপুর জেলায় এবার ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার সব কয়েকটি উপজেলায় দিন-দিন লিচু বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিটি লিচু গাছে শোভা পাচ্ছে থোকায়-থোকায় মুকুল।

সদর উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের লিচু বাগানের মালিক গোলাম মোস্তফা জানায়, লিচু গাছে খুব ভালোভাবে মুকুল এসেছে। কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার লিচুর ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ফল নিয়ে গবেষণা নিয়োজিত কৃষিবিদ সহকারী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম জানান, গত বছর প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে আবহাওয়া খারাপ থাকায় জেলায় চায়না-৩ লিচু হয়নি। এবার লিচু চাষিদের আগাম পরামর্শ দিয়ে চায়না-৩ লিচু বাগানে গাছের গোড়ায় গোবর সার ও পানি সেচ দিয়ে এই লিচুর গাছগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য লিচুর মুকুল বছরে বসন্তের ফাল্গুন মাসের আগে মুকুল আসে। চায়না-৩ ফাল্গুন মাসে প্রথম সপ্তাহ শেষে মুকুল আসতে শুরু করে। এবারে চায়না-৩ লিচুর গাছে মুকুল আসছে।

তিনি জানান, সরকার দিনাজপুরে সুস্বাদু লিচু পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লিচুর ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই জেলাতে লিচু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া জানান, চলতি বছরে দিনাজপুর জেলায় ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানকার লিচু সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দেশব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে। এবার দিনাজপুরের লিচু পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে রফতানি করা হবে।

জানা গেছে, দিনাজপুরের লিচুর মধ্যে চায়না-৩, বেদেনা, বোম্বাই ও মাদ্রাজি ও কাঠালী উল্লেখয্যেগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার এসব প্রজাতির লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকেরা।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুরের প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙিনার লিচু গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের সঙ্গে ফুলে-ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁ-ঝিঁ পোকার ডাকে এলাকা মুখরিত হতে শুরু করেছে।

দিনাজপুরের যেসব স্থানে লিচু চাষ হয় তার মধ্যে সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ, খানসামা, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলা বিখ্যাত।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাফয়েত হোসেন জানান, কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কোন সময়ে কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত সে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাম্পার লিচুর ফলন অর্জিত করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ লিচু বাগান মালিকদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।

#বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply