fbpx

দু’দিনেও দেখা নেই ফেরির, ভোগান্তিতে ট্রাক চালকরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঘাট সংকট, ফেরি স্বল্পতা এবং বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে গাড়ির চাপ থাকায় রাজবাড়ীর  দৌলতদিয়ায় ফেরি পারের অপেক্ষায় সময় পার করছে শত শত যানবাহন। এসব যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই পণ্যবাহী ট্রাক।  চালকরা দুই দিন দিন ফেরি ঘাটে বসেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন। ফলে তাদের ভোগান্তিও পৌঁছেছে চরমে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাট এলাকাজুড়ে দুই কিলোমিটার এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে রাতের নৈশ কোচ এবং পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।

যানজট কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও তিন কিলোমিটার এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে আটকে রাখা হয়েছে। এসব ট্রাক দুই-তিন দিনেও ফেরির দেখা পাচ্ছেন না। ফলে চালকদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।

ট্রাকচালকরা বলেন, দুই দিন ধরে একই জায়গায় আটকে আছেন তারা। আশপাশে খাবার হোটেল, গোসল, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। গোসল, টয়লেট করতেও ৫০ টাকা লাগে। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করছে অন্য রুট ব্যবহার করতে। কিন্তু তেলের দাম বাড়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

এক  ট্রাকচালক অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যখন ফেরি বন্ধ তখন কর্তৃপক্ষের উচিত এই রুটে ফেরি বাড়ানো। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। আবার অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এখানে সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। রাতে অনেকেই সিরিয়াল ভেঙে আগে চলে যাচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলছে। বাকি চারটি বড় ফেরি ডকইয়ার্ডে রয়েছে। ফেরি স্বল্পতার পাশাপাশি বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপ এই রুটে পড়েছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply