fbpx

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের আরো দুই ধাপ অবনতি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরো দুই ধাপ অবনতি হয়ে এখন ১২তম।  ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪ তম।

২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদন সারা বিশ্বে প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গতবারের মতো এবারও জরিপে অংশ নেওয়া ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬। শূন্য স্কোর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আর একশো এর কাছাকাছি মানে হচ্ছে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। সে অনুযায়ী সর্বনিম্ন থেকে গণনা করে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ তম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের সিপিআই অনুযায়ী ৮৮ স্কোর পেয়ে এবারও যৌথভাবে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। ৮৫ স্কোর পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড এবং ৮৪ স্কোর পেয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে। আর সর্বনিম্ন ১২ স্কোর পেয়ে যৌথভাবে তালিকার সর্বনিম্নে অবস্থান করছে দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে শুধু যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।  অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন দিক থেকে বাংলাদেশ চতুর্থ।’

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান আরো দুই ধাপ অবনতির কারণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, গণতন্ত্রের জবাবদিহির কার্যকারিতার অবদমন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় খাতে কেনাকাটায় রাজনৈতিক প্রভাব ও অনিয়ম, গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার বিষয়গুলোও একইভাবে দায়ী। দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। ব্যাংক খাতের দুর্নীতি তো আছেই। একইসাথে কোভিড-১৯ মহামারীর সংকটকালে দেশের স্বাস্থ্যখাতে প্রকটভাবে প্রকাশিত দুর্নীতিও অবস্থান অবনতির কারণ।’

বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণা বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই বলে জানায় টিআইবি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply