দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে জেলায় জেলায়, শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে। সংক্রমণ রোধে এরইমধ্যে কয়েক জেলায় চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ টি জেলাই রয়েছে সংক্রমণে উচ্চ ঝুঁকিতে। গত এক সপ্তাহের করোনার নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনা করে এই ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে তা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যা কিনা গত দুইমাসের বেশি সময় পর রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যতম মুখপাত্র রোবেদ আমিন। পাশাপাশি, সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ কার্যকর করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার অনুরোধও করেন তিনি।
এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূচকে ঢাকা এখন সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঢাকার পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে লকডাউনের প্রয়োজন হতে পারে। লকডাউন সঠিকভাবে পালিত হলে ঢাকামুখী মানুষের যাত্রা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে যে জেলাগুলো সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে, খুলনা বিভাগের দশটি জেলার সবকটিই। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয়টি অতি উচ্চ ঝুঁকিতে, দু’টি আছে উচ্চ ঝুঁকিতে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সাতটি জেলা আছে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে। রাজধানীসহ দু’টি জেলা আছে উচ্চ ঝুঁকিতে আর চারটি জেলা আছে মধ্যম ঝুঁকিতে। রংপুর বিভাগের পাঁচটি অতি উচ্চ এবং তিনটি জেলা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামসহ ছয়টি জেলা অতি উচ্চ, তিনটি জেলা উচ্চ এবং একটি জেলা মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ। বরিশাল বিভাগে তিনটি জেলা অতি উচ্চ ঝুঁকিতে এবং মধ্যম ঝুঁকিতে তিনটি জেলা। সংক্রমণ এখনো তুলনামূলক কম সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে।