করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আজ সারাদেশে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে টিকা কার্যক্রম চলছে। আজ দেশজুড়ে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে। পরে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া কার্যক্রমও জোরদার করা হবে।
এ টিকা কার্যক্রমের আওতায় সারাদেশে অতিরিক্ত অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজকের এই বিশেষ টিকাদান কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সরকার দেশের সবাইকে প্রথম ডোজ কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দেশের মানুষের টিকা গ্রহণ সহজতর করতে নিবন্ধিত/অনিবন্ধিত সবাই প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
তবে টিকা নেওয়ার জন্য জনগণের আগ্রহ বজায় থাকলে দেশের টিকা কার্যক্রমের লক্ষ্য পূরণে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য শামসুল হক। তিনি জানান, আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) থাকছে টিকার ব্যাপক আয়োজন। দেশজুড়ে ২৮ হাজার কেন্দ্রে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। আশা করছি, ওইদিন পর্যন্ত দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট পূরণ হবে।
এর আগে দেশের সবাইকে করোনা প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন আগামী শনিবার আমরা এক কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই যারা টিকা নেননি, তারা এগিয়ে আসেন টিকা নিন। টিকা নিলে আপনি, আপনার পরিবার ও দেশ সুরক্ষিত থাকবে। আগামী শনিবার আমরা সবাইকে টিকা দেব। এরপর আমরা দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের দিকে বেশি গুরুত্ব দেব।
এসময় তিনি আরও বলেন, আগামী শনিবার আমরা এক কোটি ডোজ টিকা দেব। আমরা পারলে সেদিন দেড় কোটি টিকা দেব। আমাদের কাছে ১০ কোটি টিকা মজুদ রয়েছে। আমাদের টিকা দেওয়ার সক্ষমতাও আছে। আমাদের এক লাখ লোক টিকা দিতে কাজ করছে।