২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই এক বছরে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর সময় দেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২ জনে। করোনাকালীন এই সময়ে সে হিসেবে কোটিপতি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে দেশে কোটিপতি বেড়েছিল ৬ হাজার ৩৪৯ জন। আর ২০২১ সালে এসে তা দ্বিগুণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই এক বছরে এক কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। মার্চে ১ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারী হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ২২৯টিতে। এর আগের বছরের মার্চে যার পরিমাণ ছিল ৬৪ হাজার ৭২৬টি। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ১৫৬টি।
অন্যদিকে ৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৯৯টি, ১০ কোটি ১ টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতের অ্যাকাউন্টের পরিমাণ ৩৪৪৬টি।
১৫ কোটি ১ টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৩টি। ২০ কোটি ১ টাকা থেকে ২৫ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ হাজার ৮১টি। ২৫ কোটি ১ টাকা থেকে ৩০ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৭৬৬টি।
৩০ কোটি ১ টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩৮৮টি। ৩৫ কোটি ১ টাকা থেকে ৪০ কোটি টাকার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৯৬টি। ৪০ কোটি ১ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫০৪টি। ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানতধারী অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭০টি।
এই মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭টি অ্যাকাউন্টে জমা আমানতের পরিমাণ ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা বলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
