fbpx

দেশে চাল আমদানি হয়েছে মাত্র ৬ লাখ টন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গতবছর বন্যায় আমনের ফলন কম হওয়ায় এবং করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশের বাজারে চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়। মহামারিতে দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া একটি বড় অংশকে সরকারি মজুদ থেকেই চাল সহায়তা দেওয়া হয়। সেই ঘাটতি পূরণে সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি খাদ্য মন্ত্রণালয়।

বেসরকারি পর্যায়ে চার শতাধিক আমদানিকারককে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সরকারি পর্যায়ে আরও ৫ লাখ টন মিলে মোট ১৫ লাখ টন চাল আসার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত এসেছে ৬ লাখ টন। আর দামে বনিবনা না হওয়ায় আমন মৌসুমের পর দেশের চালকল মালিকরাও সরকারের কাছে চাল বিক্রি করেননি।

এদিকে চালের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে গতবছরের ২৯ সেপ্টেম্বর দাম বেধে দেয় সরকার। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি কেজি সরু মিনিকেট চাল ৫১ টাকা ৫০ পয়সা ও প্রতি ৫০ কেজির বস্তা দুই হাজার ৫৭৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে। মাঝারি মানের চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা ও বস্তা দুই হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। ওই দিন খাদ্যভবনের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক এবং পরে আবার শুধু চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।

সিদ্ধান্তের পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব চালকল মালিককে নতুন দামে চাল বিক্রি করতে বলা হয়। আর বেধে দেওয়া দামে চাল বিক্রি না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু কাজে আসেনি কোনটাই।

এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কর্মকর্তারা মনে করছেন, দাম নির্ধারণ করে না দিলে চালের দাম আরও বাড়তো। যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো না।

তবে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বেসরকারি আমদানিকারকদের পাশাপাশি সরকার আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এ পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন লাখ টন চাল আমদানি করেছে। যার বেশিরভাগই এসেছে ভারত থেকে। আমদানি করা অনেক চাল এখনও পাইপলাইনে রয়েছে। ভারত সরকারের সাথে জিটুজি চুক্তির মাধ্যমেও চাল আনছে বাংলাদেশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় চার শতাধিক আমদানিকারক কয়েক হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ আমদানিকারকই ঋণপত্র বা এলসি খোলাসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও অনেকে চাল বাজারে ছাড়েননি। এ কারণে চূড়ান্তভাবে ২০ মে তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, ‘শুরুতে শুল্ক নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। ওটার সমাধান হয়েছে। বন্দরে আমদানির জন্য কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের একটা কোড নম্বর থাকে (এসএস কোড)। ২৫ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করে আমদানিকারকদের পণ্য ছাড় করতে হয়। সেই কোড পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তাই আমদানি করা চালও দেশে ঢুকতে শুরু করেছে।

বেসরকারি পর্যায়ে ৩২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখনো আমদানির অপেক্ষায় পাইপলাইনে আছে ২০ লাখ টন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply