fbpx

দেশে নারীরা এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‌’নারীর উন্নয়ন ছাড়া একটি সমাজ কখনোই এগুতে পারে না। কারণ সমাজের অর্ধেক নারী। আর যদি নারীরা নিজেদেরকে সমানভাবে গড়ে তুলতে না পারে, তবে এই সমাজ কীভাবে গড়ে উঠবে?’ বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে তিনি এই কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্ত পাঁচ নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পেছনে রেখে সে সমাজের নিজের পায়ে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তাই, সরকার সমাজের সর্বস্তরে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে, যেন তারা সাহসিকতার সাথে দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পরপরই সরকারি চাকরিতে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা রাখার মতো নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আর এজন্যই বাংলাদেশে আজ নারী ক্ষমতায়নে এই ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে।’

দেশে নারীরা এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

এ বছরের রোকেয়া পদক প্রাপ্তরা। ছবি : ইয়াসিন কবির জয়

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এই পদকগুলো হস্তান্তর করেন। ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আখতার।

এ বছর নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকার জন্য শিক্ষায় প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, নারীদের পেশাগত উন্নয়নে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমা বেগম, নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাঞ্জুলিকা চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বেগম মুশতারী শফি এবং নারী অধিকার ক্যাটাগরিতে ফরিদা আক্তার এই মর্যাদাপূর্ণ পদক গ্রহণ করেন।

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজে নারীর ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে নিজের মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের কথাও স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমার মা, যিনি সারাজীবন আমার বাবার পাশে থেকে এই স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন, যখন আমার বাবা জেলে থাকতেন, তখন দল গঠন থেকে শুরু করে আন্দোলন সংগ্রাম করা বা তাঁর মামলা মোকদ্দমা দেখা বা আমাদেরকে মানুষ করা, লেখাপড়া শেখানো- সব দায়িত্ব পালন কিন্তু আমার মা নিজে করেছেন।’

প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে রোকেয়া পদক প্রদান করে থাকে। নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ, পল্লী উন্নয়ন এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য সফল নারীদের এ প্রদক প্রদান করা হয়।

১৯৯৫ সালে ‘বেগম রোকেয়া পদক’ নামে এই রাষ্ট্রীয় পদকটি প্রবর্তন করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply