পাবজি, ফ্রি-ফায়ারসহ জনপ্রিয় সব বিপজ্জনক অনলাইন গেমস বন্ধের নিদের্শনা দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকির মতো সব ধরনের অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্রি-ফায়ার ও পাবজির আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধে সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে। তারও আগে সাময়িকভাবে পাবজি বন্ধ করা হলেও পরে আবার তা চালু করা হয়।
সে সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হঠাৎ করে গেমস দু’টি বন্ধ করা হলে কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেমস দু’টি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, গেমস দু’টি বন্ধ করা হলেও এ ধরনের গেমসে যারা আসক্ত, তারা ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমসটি খেলতে পারে। তাই সেসবও বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনও কিছুদিন আগে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি, নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেমস খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল গেমসটি খেলার জন্য।
এদিকে, সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকির মতো সব ধরনের অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ বিষয়ে গত ১ জুলাই শুনানি নিয়ে আদেশের জন্য কঠোর লকডাউনের পর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের কপি বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে বলা হয়।