fbpx

দেশে ফিরছেন ইউক্রেনে আটকা ২৮ নাবিক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মলদোভা হয়ে দেশে ফিরছেন ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধির ২৮ নাবিক। গতকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় অলভিয়া বন্দর থেকে মলডোভায় সড়কপথে রওনা দেন তারা। তবে যাত্রার সময় নিহত হাদিসুর রহমানের লাশ নেয়া হয়নি। তার মরদেহ বাংকারে ফ্রিজারে রাখা হয়েছে।

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের শিকার হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে গত বৃহস্পতিবার নাবিকদের জাহাজ থেকে সরিয়ে বাংকারে রাখা হয়। তিনদিন বাংকারে রাখার পর শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় ইউক্রেনে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের একটি সংস্থার সাহায্যে বাসে করে তারা ইউক্রেনের অলভিয়া পোর্ট থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মলদোভার পথে যাত্রা করেন। তবে ইউক্রেন থেকে মলদোভা যাত্রার পথে একটি ব্রিজ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। যার কারণে বিকল্প পথে তাদের মলদোভায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন মো. এনাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ক্রমাগত বাড়ছে। আমরা আর বেশি ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। এজন্য গতকালই তাদের রওনা দিতে হয়েছে। আপাতত তারা কোন পথ দিয়ে যাচ্ছে সেটা আমরাও বলতে পারছি না। সড়কপথে প্রতিবন্ধকতা অনেক। তাদের যাত্রার আগে একটি রেকি টিম গেছে। তাদের সবুজসংকেত পেয়েই যাত্রা শুরু হয়। যদি মলদোভা যেতে সমস্যা হয় তাহলে ৮০০ কিলোমিটার দূরে রোমানিয়া কিংবা সাড়ে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে পোল্যান্ডে নাবিকদের নিয়ে যাওয়া হবে। তবে আপাতত ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের কাছের পার্শ্ববর্তী দেশ মলদোভার পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সমস্যা হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে। মলদোভা, রোমানিয়া কিংবা পোল্যান্ডে তারা পৌঁছালে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে যাত্রায় হাদিসুর রহমানের মরদেহ আপাতত আনা সম্ভব হচ্ছে না। তার মরদেহ বাংকারে ফ্রিজারে রাখা হয়েছে। ২৮ নাবিক-ক্রু নিরাপদে ফিরে এলে এরপর মরদেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছে। তবে সে সময়ে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় জাহাজটি ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। ২ মার্চ বন্দরের চ্যানেলে নোঙর করা জাহাজটি রুশ হামলার শিকার হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান নিহত হন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply