fbpx

দেশে ১ মাসেই ধর্ষণের ঘটনা ১৭৭!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে করোনা মহামারির এই পরিস্থিতিতে যখন মানুষ বাঁচা-মরার চিন্তায় বিভোর, সেই সময়েও কমেনি ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য এই অপকর্ম। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) এক জরিপে এই বিষয়ই উঠে এসেছে। এমএসএফ’র জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাস এপ্রিলেই দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৭৭টি! আর এদের মধ্যে ধর্ষণের সংখ্যা ১৩৭টি, দলবদ্ধ ধর্ষণের সংখ্যা হলো ৩১টি এবং প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের সংখ্যা ৯টি। আর ধর্ষণের ঘটনাসহ গত এক মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে মোট ৩৭১টি!

আজ শনিবার (১ মে) সংবাদমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংগঠনটির নিজস্ব সংগ্রহ করা ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই জরিপ করা হয়েছে।

এমএসএফ’র জরিপ অনুযায়ী, ধর্ষিত ১৩৭ জনের মধ্যে শিশু ও কিশোরী রয়েছে ৭৬ জন এবং ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে ১৫টি। আর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ২৯টি ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ২২টি। এই মাসে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ২ জন নারীর সাথে এবং আত্মহত্যা করেছেন ৬৯ জন নারী, যাদের মধ্যে ৩২ জনই কিশোরী। এপ্রিল মাসেই অপহরণের শিকার হয়েছে তিন শিশু, চার কিশোরী ও দুই নারী, আর নিখোঁজ রয়েছে ১১ শিশু। আর এ সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৭৫ জন নারী ও শিশু।

হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে গণমাধ্যম থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী এমএসএফ জানায়, মূলত যৌতুক, তালাক, পারিবারিক বিরোধ, প্রতিশোধ ইত্যাদি কারণে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

সংগঠনটি আরও জানায়, এপ্রিলে বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮ নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয় জনকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় না এনে নবজাতকদের দত্তক দিয়েই সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানায় তারা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলেছে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতন এবং কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা। এমনকি, সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বপালনে বাধা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা-গ্রেফতারসহ নানা উদ্বেগজনক ঘটনা বেড়েছে এই মাসেই।

Advertisement
Share.

Leave A Reply