মডেলিং দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন নোভা ফিরোজ। অভিনয় করেছেন বেশকিছু জনপ্রিয় নাটক, টেলিছবিতে। উপস্থাপনাটাও তিনি বেশ উপভোগ করেন। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরই রনি ভৌমিক পরিচালিত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এরই মধ্যে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
সিনেমার আনুষঙ্গিক কাজ নিয়ে ‘মৃধা বনাম মৃধা’ টিমের আর সবার মতই খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন নোভা। তিনি সিনেমায় ক্যামেরার পেছনে কাজ না করলেও পুরো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত আছেন।
নোভা বলেন, ‘আসলে খুবই দৌঁড়ের উপর আছি। ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমাটি এই বছরেই মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। সেন্সর বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আরও কিছু ফরমালিটি মানতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আমি অভিনয় ছাড়াও এই সিনেমার সাথে অন্যান্য দিকেও জড়িয়ে গেছি।’
ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা, কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে নোভা বলেন, ‘যেহেতু আগে বড় পর্দায় কাজ করিনি, তাই বেশ নার্ভাস ছিলাম। এতটা সময় অভিনয়ের খুঁটিনাটি মাথায় রেখে অভিনয় করা আগে হয়নি। আমাকে এই সিনেমার জন্য ওজন বাড়াতে হয়েছে। পরিচালক চেয়েছেন একেবারে তথাকথিত বাড়ির আটপৌরে বউ, যে একটু স্বাস্থ্যবতী, যার সবকিছু পারফেক্ট না। আমার সহঅভিনেতারা আমাকে খুব হেল্প করেছেন। বিশেষকরে সিয়াম নিজের কাজের বাইরেও চরিত্র নিয়ে আমাকে ভাবতে অনেক হেল্প করেছে। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’
নোভা এত কাজ কম করছে কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কখনোই দৌঁড়াতে চাইনি। আমি খুবই আরামপ্রিয়। তাছাড়া আমি বেছে বেছে কাজ করি। ইচ্ছে করেই অভিনয়ের বাইরেও অন্য কাজে সম্পৃক্ত হয়েছি যাতে শুধু অভিনয় করেই আমার জীবিকা চালাতে না হয়। আসলে শুধু অভিনয় করে জীবন চালাতে গেলে অনেক সময় ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের জন্যই তখন যেন তেন কাজ করা লাগে। আমি সেটা চাইনি কখনো।’
সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রস্থাব আসছে, তবে ঐ যে বললাম আমি দৌঁড়াতে চাইনা। ভালো গল্প হাতে আসলে অবশ্যই সিনেমায় কাজ করব।’
উল্লেখ্য, মডেল ও অভিনেত্রী নোভা ফিরোজ ২০০৬ সালে ‘ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হন। অভিনয়ের বাইরে ‘টোস্টার প্রোডাকশন’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নোভার, সেটার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।