fbpx

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল পর্যায়ে আসছে, খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কাও নেই জানালেন দুই মন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে পণ্য মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

২৯ মার্চ (মঙ্গলবার) সংসদে দলীও সদস্য শফিউল ইসলামের উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সংসদে জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রায়ই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম হঠাৎ করে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়াকে দায়ী করেন মন্ত্রী।

এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভা, ‘দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্ভাবাস সেল’-এর মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশন, টিসিবি এবং কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ঢাকাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।

এই অধিদফতর প্রতি মাসে সারাদেশে তিনশ’র বেশি বাজার পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনা করছে। পণ্যের মূল্য নিয়ে কেউ যাতে মনোপলি বা অলিগোপালি অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য কমিশন কাজ করে যাচ্ছে বলেন বাণিজ্য মন্ত্রী।

এদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনও আশঙ্কা নেই।

তিনিও আজ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে জানান, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের কোনও ঘাটতি ছিল না। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও ঘাটতি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই।

তিনি জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় ৪০৭ দশমিক ০৭ লাখ টন (৩৯৪ দশমিক ৮১ লাখ টন চাল ও ১২ দশমিক ২৬ লাখ টন গম) খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচ আই ই এস-২০১৬) অনুসারে মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৮৭ গ্রাম (চাল ৩৬৭ দশমিক ২ গ্রাম এবং গম ১০ দশমিক ৮ গ্রাম)। সেই হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ হলে (প্রাক্কলিত) মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ছিল ২৩৯ দশমিক ১৪ লাখ টন (চাল ২২৬ দশমিক ৯০ লাখ টন এবং গম ১২ দশমিক ২৪ লাখ টন), যা ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের মোট উৎপদানের তুলনায় কম। আবার দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক ৩৭ শতাংশ বিবেচনায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৭ কোটি ১৫ লাখ মিলিয়ন (প্রাক্কলিত)। সেই হিসাবে দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২৪২ দশমিক ৩০ লাখ টন। সেটাও ২০২১-২২ অর্থবছরের খাদ্যশস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। সুতরাং দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনও আশঙ্কা নেই।

আগামী ১ এপ্রিল থেকে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ এবং ২৮ এপ্রিল থেকে বোরো সংগ্রহের মৌসুম শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply