fbpx

ধসে গেছে রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধের পাইলিং

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভাঙনের কবলে পড়েছে রাজবাড়ীর শহর রক্ষাবাঁধের স্থায়ী পাইলিং। এরইমধ্যে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে চারটি পয়েন্টে অন্তত ৬০০ মিটার এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে রাজবাড়ীর শতশত বসতভিটা। শঙ্কায় রয়েছে শহর রক্ষাবাঁধে বসবাসকারীরা।

গত ২৭ জুলাই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর শহর রক্ষাবাঁধে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়, এতে ৭০ মিটার নিকটে থাকা স্থায়ী পাইলিংয়ের ৪২ মিটার এলাকা মুহূর্তের মধ্যেই বিলীন হয়ে যায়। গতকাল ভোররাতে আরো তিনটি পয়েন্টে দেখা দেয় মারাত্মক ভাঙন। হুমকিতে পড়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধ, বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দিরসহ বহু স্থাপনা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজবাড়ী কার্যালয়ের তথা বলছে, ভাঙনরোধে ২০১৮ সালের জুনে রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার বরাটে তিন ও মিজানপুরে দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে চার কিলোমিটার এবং ২০১৯ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া (প্রথম সংশোধিত) শহর রক্ষাবাঁধের গোদার বাজার অংশের আড়াই কিলোমিটারসহ মোট সাত কিলোমিটার এলাকায় ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এতে দ্বিতীয় পর্যায়ের সাড়ে চার কিলোমিটারে ৩৭৬ কোটি ও প্রথম সংশোধিত ২ হাজার ৫২৭ মিটারে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রকল্পের জন্য ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার অংশে ৪৯ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হয়েছে।

গতকাল বিকালে রাজবাড়ীর গোদার বাজার এলাকার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পাউবো পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম ও রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানান, জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এখনই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হবে। যেকোনো মূল্যে শহর রক্ষাবাঁধ রক্ষা করা হবে।

পাউবো পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জানান, ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে। এছাড়া স্থায়ী পাইলিংয়ের কাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply