fbpx

‘নগর ব্যবস্থাপনার নিয়ম মেনেই উন্নয়ন করতে হবে’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘নগর ব্যবস্থাপনার নিয়ম মেনেই এর বাসিন্দাদের উন্নয়ন করতে হবে, যেন সকলের থাকার চাহিদাও পূরণ হয় এবং রাস্তাও সংকুচিত না হয়।’

৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠির বসতি ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

‘দরিদ্রবান্ধব জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল নগর উন্নয়ন : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউডিপি)। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সারা দেশ থেকে ২০ জন মেয়র এই সেমিনারে অংশ নেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস (বিআইপি)-এর সভাপতি অধ্যাপক ডঃ আকতার মাহমুদ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ডঃ ইমরান মতিন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ-এর প্রফেসর এমেরিটাস ডঃ আইনুন নিশাত। এই আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল বিআইপি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ, এবং বিআইজিডি ।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঢাকায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। তাঁদের জীবিকার জন্য অবকাঠামোর পাশাপাশি পানি, বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।’

ড: আইনুন নিশাত তাঁর বক্তব্যে দরিদ্রবান্ধব, জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল নগর উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়ন, বিতরণযোগ্য কার্যক্রম এবং সামাজিক জবাবদিহিতা উপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা বিশ্বের এখন একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা। খাদ্য নিরাপত্তা না থাকলে, মানুষজন স্থানান্তরিত হবে, জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা থাকবে না, জীববিচিত্র ধ্বংস হবে এবং স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে আমাদেরকেও খাপ খাওয়াতে হবে।’

রাস্তায় হকারদের কীভাবে টেকসইভাবে বসানো যায় সে বিষয়ে নতুন ধারনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বস্তি ও অনিয়মিত কাজই শহরের গরিব মানুষের জন্য বেঁচে থাকার উপায়। তাই টেকসই বস্তি ব্যবস্থাপনা ও নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিতে হবে।’ প্রতিটি পাড়ায় কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মীদের কাজের তদারকির জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা কার্যকরী বলে তিনি মত দেন।

সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ বলেন, ‘জনগণের অর্থ জনগণের কাছে সেবার মাধ্যমে পৌঁছানোর জন্য দক্ষ প্রশাসকের পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তিও দরকার।’

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘শহরের সমস্যা নিরসনে শহর কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বরাদ্দও প্রদান করতে হবে।’

আয়োজকেরা জানান, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনাতে অন্তর্ভূক্তিমূলক নগর ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল কর্মকৌশল সম্পৃক্তকরণ অনিবার্য। তাই নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠির বসতি ও জীবনমান উন্নয়নে ব্র্যাক কাজ করে যাচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply