দেশে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়ালো ৪৮ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ-সহায়তায় নতুন এই রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান এটিই সর্বোচ্চ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কয়েক মাস ধরেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। এছাড়া আইএমএফ থেকে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ-সহায়তা পাওয়ায় বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় উঠেছে। এই রিজার্ভ দিয়ে ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলেও মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির গত ২৯ জুলাই চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।
সেদিন তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমূলক নানা বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।’
এর আগে দেশে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এরপর থেকে এর পরিমাণ ক্রমাগত হারে বাড়ছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (১.৮৭ বিলিয়ন) রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। আর অর্থবছরের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে।
এই অর্থবছরে মোট দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে আসে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।
