দু’দিন বাদে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। এবারের বিশ্বকাপ প্রতি মুহূর্তেই রঙ বদলেছে, যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ঠিক সেমিফাইনালের আগে নতুন এক সংযোজনের ঘোষণা দিল ফিফা। শেষ ক্ষণে বদলে গেল বিশ্বকাপের বল।
বিশ্বকাপের নতুন বলের নাম আল হিলম, যার অর্থ স্বপ্ন। আল রিহলার মতো এ বলটিরও স্পন্সর অ্যাডিডাস। সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ বিশ্বকাপের বাকি চার ম্যাচের খেলা হবে ‘আল হিলম’ বল দিয়ে।
রবিবার ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল রিহলা যে প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল, সেই একই প্রযুক্তি থাকছে আল হিলমে। তৈরি করছে একই সংস্থা, অ্যাডিডাস। এই বল রেফারিদের আরও দ্রুত ও নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। এই বলে থাকবে ভার প্রযুক্তির উপকরণ। বলের ঠিক মাঝখানে থাকবে ইন্টারনাল মেজারমেন্ট ইউনিট (IMU)। ফলে অফসাইড নির্ধারণ, বলের সঠিক অবস্থান, সব কিছু নিখুঁতভাবে বোঝা যাবে।
আল হিলম বলটিতে কাঠামো বা অন্য কোনও ব্যাপারে বদল আনা হয়নি। শুধু নকশায় সামান্য বদল এসেছে। আল-রিহলার মতো এই বলেও ‘কানেক্টেড টেকনোলজি’ থাকায় বলটি কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটি বলের গোললাইন পার হওয়া কিংবা অফসাইডের বিষয়ে ভেতরে সংযুক্ত বিশেষ সেন্সরের মাধ্যমে রেফারিকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
মরুভূমির বালুর সোনালি রঙে করা হয়েছে বলটির মূল নকশা। একই সঙ্গে বলের ওপর রয়েছে কাতার বিশ্বকাপের লোগো ও দেশটির রাজধানী দোহার আদলে গ্রাফিকসের কাজ। আল হিলমের সকল উপাদান খুব সতর্কভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে আল হিলম-ই প্রথম বল, যা কি-না শুধু তরল কালি ও আঠা দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। আল রিহলার মতোই বলটিতে সুক্ষ্ম ত্রিভুজাকৃতির প্যাটার্ন রাখা হয়েছে। প্যাটার্নগুলো কাতারের পতাকার রংয়ে আবৃত।
বিশ্বকাপের বলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকায় বেশ কিছু সুবিধা হয়েছে। কঠিন অফসাইডের সিদ্ধান্তও বল থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সহজেই দেওয়া যাচ্ছে। এই বলকে মোবাইল, ল্যাপটপের মতো চার্জ দিতে হয় ম্যাচের আগে। এখন পর্যন্ত বল নিয়ে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এবারের বিশ্বকাপে আল হিলমে পা ছুঁয়ে সোনালী ট্রফি মেসি, মদরিচ, এমবাপ্পে নাকি আশরাফ হাকিমির ঘরে যাবে, সেটি দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব!
https://www.facebook.com/bbsbangla.news/videos/5685252714884855