fbpx

নতুন ভোরের ডাক দিচ্ছে ‘লাল মোরগের ঝুটি’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সিনেমার প্রিমিয়ার মানে শুধু সিনেমা দেখা নয়, একেবারে তারকা, অতিথিদের মিলনমেলা। হাসি, তামাসা  খোশ গল্পে মেতে ওঠা। ৯ ডিসেম্বরের সন্ধ্যা নির্মাতা নূরুল আলম আতিক পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ দারুণ সব মুহুর্ত উপহার দিয়েছে আগারগাওয়ের ফিল্ম আর্কাইভে।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে নুরুল আলম আতিক দেশের মানুষকে আরও একবার দাড় করিয়ে দিলেন মুক্তিযুদ্ধের সামনে। মুরগীর ডাকে ভোরবেলার গ্রামীন মানুষের ঘুম থেকে জেগে ওঠার মতই আরো  একবার সবাইকে জাগিয়ে দিল রঙিন সেলুলয়েডের যুগে সাদাকালো ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’।

নতুন ভোরের ডাক দিচ্ছে ‘লাল মোরগের ঝুটি’

‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমার একটি দৃশ্যে আহমেদ রুবেল। ছবি: সংগৃহীত

বহু কাঠকর পেরিয়ে, সুদীর্ঘ ৫ বছরের যুদ্ধের ফসল এই সিনেমা। এটাও কম যুদ্ধ নয় সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের কাছে। নির্মাতা নূরুল আলম আতিক বলেন, ভোরবেলা মুরগির ডাকে যেমন সবার ঘুম ভাঙে, তেমনি এই সিনেমাও সবাইকে আরেকবার ঘুম ভাঙাবে, মুক্তিযুদ্ধকে আরেকবার বুঝতে শেখাবে। এমনকি এই সিনেমার চরিত্রগুলোর কাজ যেন রঙের বাহারে হারিয়ে না যায় সেজন্য সাদাকালোয় রেখেছি।’

বহুল প্রতীক্ষীত সময় পেরিয়ে দর্শকের অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটলো লাল মোরগের ডাকে। সিনেমা শেষে প্রশ্ন উত্তর পর্বে পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলীরা জানালেন সিনেমার পেছনের গল্প, একেকজনের এক একটি চরিত্র হয়ে ওঠার গল্প।

প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।  সিনেমা দেখে ফিরে যান নিজের যুদ্ধের দিনগুলোয়, জানালেন তার অনুভূতি।

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালীর অহংকার। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা তাই বাঙালীকে দেয় বাড়তি অনুপ্রেরণা। পর্দায় লাখো লাখো তরুণ অদেখা মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করে নতুন করে, উজ্জীবিত হয় দেশপ্রেমে। লাল মোরগের ঝুঁটি ঠিক এভাবেই তরুণ সমাজকে উজ্জীবিত করবে বলেই বিশ্বাস করেন সিনেমা বোদ্ধারা।

দেশের মোট সাতটি প্রক্ষাগৃহে ১০ ডিসেম্বর থেকে দেখানো হবে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, আশীষ খন্দকার, ইলোরা গওহর, অশোক ব্যাপারী, আশনা হক ভাবনা, দিলরুবা দোয়েল, জ্যোতিকা জ্যোতি, দীপক সুমন, জিনাত শানু স্বাগতাসহ আরও অনেকে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply