নতুন রূপে সাজবে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আলী আমজদের ঘড়ি। ঘড়িটিকে পুরনো জৌলুস ফিরিয়ে দিতে চায় মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড।
এ বিষয়ে একটি সমন্বিত উন্নয়ন প্রস্তাব এরইমাঝে সিলেটের মেয়র বরাবর জমা দিয়েছে মারমেইড। প্রস্তাবনার মাঝে আছে- ঘড়িটির নিয়মিত পরিচর্যা, গোটা চত্বরের সৌন্দর্য বর্ধন ও ল্যান্ডস্কেপিং। আছে, এই ঘড়ি দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও।
মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ বলেন, ’ দেশব্যাপী বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্যেগ নিতে যাচ্ছি আমরা। কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য পরিকল্পনা হাতে রেখেছি। আলী আমজদের ঘড়ি আমাদের দেশের গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এটিকে আমরা দেশে তো বটেই এমনকি বাইরের বিশ্বের কাছেও একটি পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
সিলেট শহরের প্রবশে মুখে কিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে আলী আমজদের ঘড়ির অবস্থান। এ ঘড়ি স্থাপিত হয় ১৮৭৪ সালে। তৎকালীন বড়লাট লর্ড নর্থব্রুকের সিলেট সফরকে স্মরণীয় করতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার নবাব আলী আহমদ খান ঘড়িটি নির্মাণ করেন। ঘড়ির নামকরণ করেন পুত্র আলী আমজদ খানের নামে। আলী আমজদের ঘড়ির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি।