fbpx

নতুন শিক্ষাক্রমে ভুল বা অস্বস্তিতর কিছু থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক অংশ হিসেবে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি ও মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বই দেওয়া হয়েছে। এগুলোয় কোনও ভুল থাকলে এবং বইয়ের কোনও বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আমরা যা শিখবো তা করে করে শিখবো। সেই লক্ষ্যেই নতুন শিক্ষাক্রম। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে এবং সারা বছর বইগুলো পরিমার্জন, পরিশীলন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা উপহার বিতরণ ও ‘একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্রসমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী নতুন পাঠ্যক্রম সম্পর্কে বলেন, এ বছর প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি এটা শিখবে। আর মাধ্যমিকে সপ্তম ও অষ্টম। ২০২৩, ২৪ ও ২৫ এই তিন বছর মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। এ বছর নতুন যে বইগুলো গেছে সেগুলো পরীক্ষামূলক হিসেবেই গেছে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে। গত বছর মাত্র ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা এগুলো পাইলট করেছি। এখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছি।

তিনি বলেন, এ বছর আমরা ৩৩ হাজার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে বইগুলো দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেবো এবং সারা বছর বইগুলোকে আমরা পরিমার্জন, পরিশীলন করবো। প্রথম, ষষ্ট, সপ্তম শ্রেণিতে যে বইগুলো গেছে সেগুলোতে কোথাও ভুল থাকতে পারে। কোনও কোনও বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকতে পারে। আমাদের জানাবেন। আমরা আগামী বছরের জন্য সেগুলো সংশোধন করবো। বাকি ক্লাসের বইগুলো আমরা সেই আলোকে তৈরি করবো। কাজেই এই বছরের বইগুলো কিন্তু পরীক্ষামূলক সংস্করণ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঔপনিবেশিক এবং সেটা শুধু কেরানি পয়দা করা শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি বলেছিলেন, এই ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে স্বাধীন দেশের স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ার যে পরিকল্পনা সেটি সম্ভব হবে না। সেজন্যই তিনি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খোদাকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করেছিলেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার দিকনির্দেশনায় যে প্রথম শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল, সেটি বাস্তবায়িত হলে আজ আমরা যে বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি এটি আমরা আরও আগে দেখতে পেতাম। বরং হয়তো আরও এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আমরা পেতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন একটি সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ সামনে ২০৩০ সালে আমাদের ট্যাক্স উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি বিষয় রয়েছে। যেটি আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। যেখানে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানে চার নম্বরে যেটি রয়েছে সেটি হলো শিক্ষা এবং সেটি সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সে শিক্ষায় যদি আমরা মানুষ গড়তে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি আমরা জীবনব্যাপী করতে পারি, সেই শিক্ষা যদি সাম্যের শিক্ষা হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা হয় তাহলে বাকি যে ১৬টি লক্ষ্যমাত্রা আছে সেগুলো অর্জন করা সহজ হয়ে যাবে।

এসময় স্মার্ট নাগরিকের ধারণা ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা ও ক্লাবভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। পাঠাগারগুলোকে উন্নত করতে চাই। কারণ তারা যত বেশি অন্য বই পড়বে তত বেশি তাদের চিন্তাজগত প্রসারিত হবে। সঙ্গে দাবার ক্লাব, বিতর্কের ক্লাব, উদ্যোক্তা তৈরি করার ক্লাব, ব্রতচারী তৈরি করার ক্লাব, স্কাউট অবশ্যই সব প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী স্মার্ট শিক্ষার্থী হবে। সেই স্মার্ট প্রতিটি মানুষ তৈরি হওয়ার মাধ্যমেই কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। এর মানে হচ্ছে আমি চিন্তায় স্মার্ট হবো। কোনটি সঠিক কোনটি বেঠিক সেটি আমি জানবো। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। সমস্যা নিরূপণ করতে পারবো। সূক্ষ্ম চিন্তা করতে পারব। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ হবো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply