fbpx

নদীর মতো আঁকাবাঁকা যে দেশের মানচিত্র!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আঁকাবাঁকা নদী হয়, হয় বনভূমিও। তেমনি বিচিত্র নদীর মতো আঁকাবাকাঁ একটি দেশের মানচিত্র, নাম তার গাম্বিয়া।

রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার মতো আলোচিত ঘটনার আগে ক’জনই বা চিনতেন, গাম্বিয়া নামের কোন দেশ আছে পশ্চিম আফ্রিকায়?

উত্তর আটলান্টিকের পাড়ে সেনেগালের ঠিক পেটের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলা নদী ’গাম্বিয়া’র দু’পাড়ে মাত্র ১১ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার নিয়ে গড়ে ওঠা একটি আলাদা মানচিত্র, ‘রিপাবলিক অব গাম্বিয়া’। রাজধানী ‘বানজুল’ থেকে শুরু হওয়া দেশটির মধ্য দিয়ে বয়ে চলা নদীটির সর্বোচ্চ প্রশস্ততা মাত্র ৫০ কিলোমিটার।

নদীর মতো আঁকাবাঁকা যে দেশের মানচিত্র!

দেশটিতে শিক্ষিতের হার, পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী শিক্ষার হার ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

ধারণা করা হয়, নবম-দশম শতাব্দীতে মুসলিম বণিকেরা পশ্চিম আফ্রিকায় বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বাণিজ্যিক কেন্দ্র স্থাপন করেন। এসব অঞ্চল থেকে স্বর্ণ ও হাতির দাঁত রপ্তানি করার পাশাপাশি ইসলাম ধর্মও প্রচার করেন তারা। ফলে গাম্বিয়া, সেনেগাল ও পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। বর্তমানে গাম্বিয়ার ২৭ লাখ জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশই মুসলিম। দেশটির শিক্ষিতের হার, পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী শিক্ষিতের হার ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

নদীর মতো আঁকাবাঁকা যে দেশের মানচিত্র!

৯৬ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির প্রায় সব এলাকাতেই দেখা যায় একাধিক মসজিদ।

ইতিহাস বলে, ১৯ শতকে গ্রেট ব্রিটেনের দখলে ছিল গাম্বিয়া নদীর নিম্নাংশ। আর সেনেগালের সাথে থাকা গাম্বিয়ার নিয়ন্ত্রণ ছিল ফ্রান্সের হাতে। পরবর্তীতে ঔপনিবেশিক সমঝোতার কারণেই গাম্বিয়ার মানচিত্রে আসে এমন অদ্ভুত গড়ন। ১৯৬৫ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে গাম্বিয়া, সেনেগালসহ পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ।

নদীর মতো আঁকাবাঁকা যে দেশের মানচিত্র!

ঘনবসতিপূর্ণ দেশটির জনসংখ্যা ২৭ লাখ।

ঘন বসতিপূর্ণ দেশটির অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। তাদের প্রধান জীবিকা কৃষি। চীনাবাদাম দেশটির প্রধান উৎপাদিত শস্য, যা অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়। একইসঙ্গে রপ্তানি করা হয় মাছ, পাম কার্নেল, তুলা।

নদীর মতো আঁকাবাঁকা যে দেশের মানচিত্র!

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ের দেশটির অন্যতম আয়ের উৎস পর্যটন শিল্প।

নভেম্বর থেকে মে মাস, ইউরোপে যে সময়টাতে তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে, সে সময়টা গাম্বিয়ার ঝকঝকে রোদ উদযাপন করতে পর্যটকরা ভীড় করেন আটলান্টিক সমুদ্র সৈকতের ছোট্ট শহর বানজুলে। দৃষ্টিনন্দন আটলান্টিক মহাসাগরের তীর ছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষণ গাম্বিয়ার প্রকৃতিতে মিশে থাকা নানা প্রজাতির অসংখ্য পাখি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশের কারণে, ইংরেজি গাম্বিয়ার সরকারী ভাষা হওয়ায় পর্যটকরা এখানে স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম বিশ্বাস করেই গাম্বিয়ানরা হানাহানি সংঘর্ষ পছন্দ করেন না, দেশটির নিরাপত্তা নিয়েও সন্তুষ্ট পর্যটকেরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply