fbpx

নদী অববাহিকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে: ঢাদসিক মেয়র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঐতিহ্য সংরক্ষণে নদী অববাহিকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিল ও রূপলাল হাউস সংলগ্ন রাস্তা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র এ কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, “আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে — আহসান মঞ্জিল একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। তার সামনে কিভাবে দখল অবস্থায় রয়েছে এবং বিআইডাব্লিউটিএ সেখানে বিভিন্ন জেটি এবং বিভিন্ন ঘাট বানিয়ে সেখানে একটি অস্বস্থিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। নদী থেকে স্থাপনার সৌন্দর্য দেখার সুযোগ আর সুযোগ নেই।

আমাদের ঐতিহ্যবাহী রূপলাল হাউজ পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, এর আগেও আমি রূপলাল হাউজের ভেতরে পরিদর্শন করেছি। আমরা এরই মাঝে জেলা প্রশাসন ও গণপূর্তকে চিঠি দিয়েছি, রূপলাল হাউজ — ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আমাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য। আজকে আমি সামনের দিকটা পরিদর্শনে আসলাম।

ঢাদসিক মেয়র বলেন, আপনারা দেখছেন এখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ঘাট দখল করা হয়েছে। যে সিঁডির পাশে আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি সেটিও রূপলাল হাউজের অংশ ছিল। কিন্তু এখন দখল অবস্থায় আছে। সব মিলিয়ে ঐতিহ্য উপভোগ এবং সংরক্ষণ করার কোন সুযোগ দেখছি না। তারপরও আমরা চেষ্টা করব, যাতে করে আমরা এই ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে পারি, সংরক্ষণ করতে পারি এবং দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পারি।”

এ সময় রূপলাল হাউজ দখল মুক্ত করা এবং আহসান মঞ্জিলের সামনে বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাট দখল মুক্ত করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শেখ তাপস বলেন, “অবশ্যই, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এরই মাঝে আমরা লালকুঠি সংরক্ষণের কাজ আরম্ভ করেছি। লালকুঠির সামনে তারা (বিআইডব্লিউটিএ) যে লঞ্চঘাট করেছে তা এই রূপলাল হাউজ পর্যান্ত বিস্তৃত। আমরা তাদের কাছে চিঠি দিয়েছি, কয়েক দফা তাদের সাথে বসেছি। আমরা অচিরেই এগুলো অপসারণের কাজ হাতে নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘রুপলাল হাউজের জমিগুলো কিছু গণপূর্তের কাছে রয়েছে, কিছু জেলা প্রশাসনের কাছে। আমরা চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে এগুলো হস্থান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এগুলো অপসারণে যাব। সামনে নদীর অববাহিকায় যে অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো আমরা অপসারণ করে জনগণের জন্য সুন্দর, মনোরম ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করে তা উপভোগের জন্য আমরা খুলে দেবো। মানুষ এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলো উপভোগ করতে পারবে এবং বহির্বিশ্বের মতো নদী থেকেও সেগুলো উপভোগ করতে পারবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘এই সড়কটা ৬ সারিতে প্রশস্ত করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। বছিলার পর আমাদের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকা যেখানে থেকে শুরু হয়েছে সেখান থেকে আমরা আরম্ভ করছি। পুরো রাস্তাটা ৬ সারিতে উন্নীত করব। ২ সারি – ২ সারি হবে এক্সপ্রেসওয়ে আর ১ সারি- ১ সারি থাকবে সার্ভিস সড়ক বা সংযোগ সড়ক। আমরা নতুন যে পরিকল্পনা নিয়েছি তা মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করব, যাতে করে অর্থায়নের ব্যবস্থা করে দেয়। এটি ৬ সারিতে উন্নীত করতে পারলে এই এলাকার পরিবেশটা অনেক উন্নত হবে।’

এ সময় ডেঙ্গু সংক্রমণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, ‘গতকাল আমাদের রোগীর সংখ্যা ২৫ এর নিচে রয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন ২০ এর ঘরে রোগী পেয়েছি। সুতরাং দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এর আগে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মৎস্য ভবন মোড়ে পথচারী পারাপার সেতু (ফুট ওভার ব্রীজ), ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামবাগ আধুনিক নগর মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতীয় মৎস সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply