fbpx

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়। ১৩ নভেম্বর আজ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এইদিনে নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন এই কথার জাদুকর।

তিনি ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়। একাধারে নাম লিখিয়েছেন নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে। তার ঝুলিতে রয়েছে দুই শতাধিক উপন্যাস। তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই সাড়া ফেলেন। এরপর উপহার দিয়েছেন জোছনা, জননীর গল্প, লীলাবতী, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, গৌরিপুর জংশন, নৃপতি, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচিনি দ্বীপ, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প, এমন ঝড় তোলার মতো সব উপন্যাস। তার বইয়ের সংখ্যা ৩শ’রও বেশি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের এই অধ্যাপক হুমায়ুন আহমেদের রতিচ জনপ্রিয় ‘হিমু’ শুভ্র’ মিসির আলী’র মতো চরিত্রগুলো আজও মানুষকে ছুয়ে যায়। আজও হুমায়ূন আহমেদকে বলতে লোকে হিমুকেই চিনে। তিনি উপহার দিয়েছেন মনে রাখার মতো অসংখ্য নাটক তার নির্মিত বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, এর মতো নাটকগুলো বর্তমান প্রজন্ম কাছেও এখনও একইভাবে জনপ্রিয়।এছাড়া  শ্রাবণ মেঘের দিন, আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, সর্বশেষ ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের জন্য তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

তিনি একাধারে পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন পুরস্কার রয়েছে নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের ঝুলিতে।

তিনি আমাদের চিরতরে ছেড়ে যান ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। মরণব্যাধি ক্যানসারের চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মাত্র ৬৪ বছর বয়সেই তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় আনার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে লাখো মানুষের অশ্রু পুষ্পতে সিক্ত হন তিনি।

২৪ জুলাই নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। সেদিন গভীর শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল তার লাখো ভক্ত অনুরাগী। হুমায়ূন আহমেদ আজো বেঁচে আছেন লাখো পাঠকের হৃদয়ে হৃদয়ে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply