নভেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও কমার খবর দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “অন্যান্য দেশে বিশেষ করে, ইংল্যান্ডেও সাধারণ মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে পৌঁছে যাওয়ার পর তাদেরও এখন কমতে শুরু করেছে। সুতরাং আমাদের দেশেও কমার প্রবণতা, বিশ্বের সঙ্গেও মেলে, আমাদের সঙ্গেও মেলে।”
তিনি বলেন, “অগাস্টে আমাদের মুল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌছে যাওয়ার পর আমি বলেছিলাম মুল্যস্ফীতির হার কমে আসবে। এরপর থেকে টানা তিন মাস কমেছে। ডিসেম্বর মাসেও মূল্যস্ফীতি কমার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।”
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী তেল গ্যাসের দাম কমে এসেছে, আমাদের দেশেও অবধারিতভাবে কমবে। তাই সামনের দিনগুলোতে আমাদের মূল্যস্ফীতি আরও কমে আসবে। শুধু তাই নয় চলমান ইউক্রেন-রাশিয়ার এ যুদ্ধ পরিস্থিতি এখন যেমন আছে তেমনটি স্থির থাকলেও চলতি অর্থবছর শেষে আমাদের কাঙ্ক্ষিত মাত্রা, প্রায় ৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলে আশা করছি।’
মূল্যস্ফীতির এই প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অ্যাকাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গত আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছায়। সেপ্টেম্বরে এই হার ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়। সেই হার অক্টোবরে আরেকটু কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নামার তথ্য দিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য উপখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।