বুধবার বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত পুলিশি পাহারা চলছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট দেখা গেছে। ওইসব এলাকায় ঢুকতে সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষকে দেখাতে হচ্ছে পরিচয়পত্র। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ড্রেস ও আইডি কার্ড দেখে যেতে দেওয়া হচ্ছে। কার্ডবিহীন ও সন্দেহভাজন কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গতকালের অভিযানে বিএনপির কার্যালয় থেকে বিপুল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আমরা কাউকে কার্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছি না। পুরো কার্যালয়ে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট আছে। তারা জায়গাটি ঘিরে রেখেছেন। নিরাপদ ঘোষণা করলে কার্যালয়ে ঢোকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
এছাড়া সিটি হাট শপিং কমপ্লেক্স চায়না টাউন পলওয়েলসহ এই এলাকার বড় মার্কেটগুলা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফকিরাপুল মোড়, রাজারবাগ পিডিব্লিউডি জামে মসজিদ গলি, নয়াপল্টন সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন গলি, জোনাকি মার্কেট গলিসহ পল্টন মোড় পর্যন্ত সব গলিতে পুলিশের ব্যারিগেট দেখা যায়।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আজ ভোর থেকেই পল্টন এলাকায় কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত শুধু চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া এবং এই রাস্তা ব্যবহারের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
পল্টন এলাকায় কতদিন এই অবস্থা চলমান থাকবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন-তারিখ নেই। তবে ১১ ডিসেম্বরের আগে এখান থেকে পুলিশ সরানো হবে না।’