fbpx

না বুঝে স্যালাইন খেয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গরমে একটু বেশি ঘেমে গেলেই অনেকে ভাবেন শরীর থেকে অনেক লবন পানি চলে গেছে। তা পূরণে চট করে গুলে খেয়ে নেন একটি খাবার স্যালাইন। অথবা দিনে তিন থেকে চারবার টয়লেটে যেতে হয়েছে বলেও কোন ভাবনা ছাড়াই খেয়ে নেনে খাবার স্যালাইন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার কারণে শরীর থেকে যে লবন পানি বের হয়ে যায়, শুধুমাত্র তা পূরণে তৈরি করা হয়েছে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন ওআরএস।

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘একসময় কলেরার ঘাটতি পূরণের উপযোগী করে বানানো হয়েছিল ওরস্যালাইন। পরবর্তীতে কলেরা কন্ট্রোলে চলে এলে বর্তমানে রোটা ভাইরাসের ক্ষতি পূরণের উপযোগী করে ওরস্যালাইন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পায়খানার সাথে যে পরিমাণ লবন ও পানি বের হয়ে যায় ঠিক তা পরিপূরণ করে খাবার স্যালাইন। মুখে খাবার জন্য তৈরি এই স্যালাইন অন্য কোন কারণে খাওয়া বিপজ্জনক।’

ডা. প্রবীর কুমার আরও বলেন, ‘অনেকেই আছেন, একটু বেশি ঘেমে গেলেই চট করে একটা স্যালাইন খেয়ে ফেলেন, অথবা দু’তিনবার পাতলা পায়খানা হয়েছে, ভেবেই নেন একটা স্যালাইন খাওয়া দরকার। কিন্তু একটা স্যালাইনে যে পরিমান লবন আছে তা আপনার শরীরে প্রয়োজন নাও হতে পারে। খুব বেশি ঘেমে যাওয়া বা ইলেক্ট্রোলাইট ঘাটতি হলে সেটা ভিন্ন কথা। যেমন ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে ক্লাসিক হলে আমরা স্যালাইন দেই না। কিন্তু সিভিয়ার হলে বা অনেকবার বমি হয়েছে, পাতলা পায়খানা হচ্ছে দেখলে আমরা স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেই। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অথবা প্রয়োজন ছাড়া স্যালাইন খাওয়ার কারণে বিপদ হতে পারে এবং সেটা হচ্ছেও।’

নব্বই দশক থেকে একটা লম্বা সময় পর্যন্ত রেডিও টেলিভিশনে স্যালাইন বানানোর নিয়ম প্রচার করা হলেও এখনো অনেকে খাবার স্যালাইন বানাতে ভুল করেন। এ বিষয়ে ডা. প্রবীর কুমার বলেন, ‘এখনো অনেকে আছেন যারা এক কাপের মধ্যে পুরো প্যাকেটের স্যালাইন গুলে খাওয়ান অথবা শীতকালে সকালে স্যালাইন বানালে রাত পর্যন্ত রেখে খাওয়ান। অথবা বিকেল হয়ে গেলে একটু গরম করতে চান। এসব ক্ষেত্রে স্যালাইনের গুণগত মান নষ্ট হবার পাশাপাশি রোগী আরও বেশি অসুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে।’

খাবার স্যালাইন মুলত একটি ওষুধ। ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা এবং অন্যকোন কারণে খাবার স্যালাইন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, বলছেন শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply