fbpx

নিজেকে বড় শিল্পী ভাবেন না ফারহান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বর্তমানে তরুণ অভিনেতাদের মধ্যে পরিচিত মুখ মুশফিক আর ফারহান। গেল কয়েক বছরে নিজের অনবদ্য অভিনয় দিয়ে নাট্যাঙ্গনে আলোচনায় এসেছেন তিনি। বছরজুড়েই গল্প নির্ভর নাটকে দেখা মেলে এই অভিনেতার। এবার ঈদেও ফারহান অভিনীত সাতটি নাটক প্রচার হয়েছে টেলিভিশন এবং ইউটিউবে। যা প্রশংসা পাচ্ছে অন্তর্জালে আর এগিয়ে আছে ইউটিউব ভিউয়ে।

এবারের ঈদের কাজ প্রসঙ্গে ফারহান বলেন, ‘এবারের নাটকগুলোতে গল্প ও আমার চরিত্র ভিন্নধর্মী ছিল। লোকেশনে ভেরিয়েশন ছিল। প্রতিটা কাজ সময় নিয়ে খুব যত্নসহকারে করার চেষ্টা করেছি। যে সাতটা নাটক করেছি কোনোটাই আরামদায়ক কাজ ছিল না। প্রত্যেকটা কাজই কষ্ট করে করতে হয়েছে। চরিত্র নিয়ে গবেষণা করেছি। বিহাইন্ড দ্য স্টোরি ছিল খুবই প্যাথেটিক।’

মুশফিক আর ফারহানের ‘হাঙর’ নাটকের শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। এই নাটক প্রসঙ্গে অভিনেতার ভাষ্য, ‘গরমের দিনে শুটকি পল্লিতে শ্যুট করাটা খুবই টাফ ছিল। একটা দৃশ্য তো খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য। সাগরের একটা জায়গায় গিয়ে লাফ দিতে হয়। সমুদ্রের ভেতর একা লাফ দেয়া তো ভয়ংকর বিষয়।’

ফারহান আরও যুক্ত করেছেন, ‘ঈদের ‘ভুলনা আমায়’ নাটকের শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। একবারে ধান খেতের ভেতর একটা শট ছিল। মারা যাওয়ার পর যেখানে আমাকে রেখে যায়। ধান খেতের পাশে কাদায় শুয়ে থাকতে হয়েছে। ‘নসিব’ এ পুতুলের ড্রেস পরে ডান্স করতে হয়। ওই সময় প্রচুর রোদ ছিল। প্রচুর গরমের মধ্যে ওই ড্রেস পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা শট দিয়ে গিয়েছি।’

নিজের তো অবশ্যই, দর্শকের জন্যও এসব কষ্ট শিকার করেন এই অভিনেতা। আর তাইতো যখন দর্শক নাটক ও তাকে সাদরে গ্রহণ করেন তখন এসব কষ্টকে কষ্ট মনে হয় না ফারহানের।

তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে যে পরিবেশটা আমরা ফেস করেছি, এগুলোতে অভ্যস্ত না। অনেক কষ্ট হয়েছে। হার্ডওয়ার্ক করতে হয়েছে। কষ্টটাকে কষ্ট মনে হয়নি যখন দর্শক কাজগুলোকে ভালোবেসেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে যখন ফিডব্যাক পেয়েছি। এটাই বড় পাওয়া।’

নিজেকে এখনও বড় শিল্পী ভাবেন না ফারহান। তবে সবার সাপোর্ট পাচ্ছেন বলে খুশি তিনি। সবসময় ভালো কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হবেন বলেও জানান তিনি। সামনের কোরবানির ঈদেও তাকে ভালো কাজ নিয়েই আসতে দেখা যাবে বলে জানান এই তরুণ অভিনেতা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply