fbpx

নিজ ভাষার বই পাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৯৪ হাজারের বেশি শিশুকে নিজ ভাষায় পাঠ্যবই তুলে দেবে সরকার। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই এবং তৃতীয় শ্রেণির শুধু বাংলা বই তাদের ভাষায় দেয়া হবে। পাশাপাশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল বইও দেয়া হবে।সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের হাতে এই বই তুলে দেয়া হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনসিটিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও গারো শিক্ষার্থীদের নিজ ভাষায় পাঠ্যবই তুলে দেয়া হবে। এর ভিতর প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব বই বিশেষ ভাষায় দেয়া হলেও তৃতীয় শ্রেণিতে শুধু বাংলা বই তাদের ভাষায় দেয়া হবে।পরবর্তী শ্রেণি থেকে তাদের সাধারণ শিক্ষায় যুক্ত করা হবে। চলতি বছর সাঁওতাল ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় তা পিছিয়ে গেছে।

২০২১ শিক্ষাবর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় ২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮টি বই ৯৪ হাজার ২৭৫ জন শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আর ৯ হাজার ১৯৬ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর হাতে ব্রেইল বই তুলে দেয়া হবে। পূর্বে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বল্প পরিসরে ব্রেইল বই দেয়া হতো।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘চলতি বছর সারাদেশে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। তাদের সঙ্গে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের নিজ ভাষায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ব্রেইল বই দেয়া হবে। ২০১৬ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজ ভাষায় পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হচ্ছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘সাওতাল নৃ-গোষ্ঠীদের নিজ ভাষায় বই দেয়ার কথা থাকলেও তাদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ থাকায় কোন ভাষায় অক্ষর লিপিবদ্ধ হবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ফলে এ বছরেও তাদের নিজ ভাষায় বই দেয়া সম্ভব হচ্ছে না’।

Advertisement
Share.

Leave A Reply