fbpx

নিবন্ধনের আওতায় আসছে অটোরিকশা,ইজিবাইক,নসিমন,ভটভটি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সড়কে বন্ধ হচ্ছে না মোটরচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি এগুলো চলাচলের জন্য এলাকা নির্ধারণ করে দেবে সরকার। পাশাপাশি এসব যানের সংখ্যা বেঁধে বা সিলিং নির্ধারণ করে দেবে (আরটিসি)। আর এসব যানের নিবন্ধন দেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা করছে সরকার। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হচ্ছে।

খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় শহরের মধ্যে অটোরিকশা এবং শহরের বাইরে ও উপজেলায় নির্ধারিত রুটে অটোরিকশা ও অটোটেম্পু চলাচলের রুট পারমিট দেওয়া যাবে। শুধুমাত্র উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় রুটে রুট পারমিট নিয়ে ইজিবাইক নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু চলাচল করতে পারবে।

খসড়া নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু সেই অর্থে সুষ্ঠু, নিরাপদ, আধুনিক গণপরিবহন এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায়ই দেখা যায়, অনুমোদিত মোটরযানের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক অপ্রচলিত ঝুঁকিপূর্ণ থ্রি-হুইলারসহ ছোট আকারের সমজাতীয় মোটরযান ব্যাপকহারে অপরিকল্পিতভাবে সড়ক পরিবহন সেক্টরে সংযুক্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার ২০১৫ সাল থেকে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা/অটোটেম্পু ও সকল শ্রেণির অযান্ত্রিক বাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান বলতে অটোরিকশা (চালকসহ সর্বোচ্চ চার আসনবিশিষ্ট থ্রি-হুইলার), অটোটেম্পু (চালকসহ সর্বোচ্চ সাত আসনবিশিষ্ট থ্রি-হুইলার), ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক, পাখি), স্থানীয়ভাবে তৈরি করা থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু) ইত্যাদিকে বোঝাবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য নির্দিষ্ট এলাকা বা রুটে রুট পারমিট নিয়ে অটোরিকশা, অটোটেম্পো চলাচল করতে পারবে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় শহরের অভ্যন্তরে অটোরিকশা এবং শহরের বাইরে ও উপজেলায় নির্ধারিত রুটে অটোরিকশা ও অটোটেম্পু চলাচলের রুট পারমিট দেওয়া যাবে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি) নির্ধারিত সিলিং অনুযায়ী বিআরটিএ অটোরিকশা ও অটোটেম্পো রেজিস্ট্রেশন দেবে।

যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি) সিলিং নির্ধারণ করবে। এই সিলিং অনুযায়ী অটোরিকশা ও অটোটেম্পু বিক্রয় করতে হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মাধ্যমে অটোরিকশা ও অটোটেম্পোর এই নির্ধারিত সংখ্যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকৃত অটোরিকশার ক্ষেত্রে সিএনজি বা পেট্রোলচালিত ৪-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার সার্ভিস নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

শুধুমাত্র উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় রুটে রুট পারমিট নিয়ে ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে, তবে এ রুটের কোনো অংশ মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কের অংশ হতে পারবে না। রুট নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির মতামতের ভিত্তিতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি রুট পারমিট দেবে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি নির্ধারিত সিলিং অনুযায়ী বিআরটিএ ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশন দেবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply