fbpx

নিম্নমানের দুধ সরবারহ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সংসদীয় কমিটির বৈঠকের আলোচনায় অভিযোগ উঠেছে দেশের বেসরকারি দুগ্ধ সরবারহকারী প্রতিষ্ঠাগুলো নিম্নমানের দুধ বাজারে সরবারহ করছে। বিষয়টি নিয়ে গত ৩ মে অনুষ্ঠিত কমিটির আগের বৈঠকে আলোচনা হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের সদস্যরা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠান দেশী ও বিদেশী উৎস থেকে নিম্নমানের দুধ সংগ্রহ করে তাতে ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে মিল্কভিটার তুলনায় কম দামে বিক্রি করে। গুরুত্বপূর্ণ এই বিচষয়টি জনগণকে জানানো প্রয়োজন  বলে মনে করেছে সংসদীয় কমিটি।

আজ রোববারের (৪ জুন) বৈঠকে গত সভার কার্যবিবরণী আকারে উত্থাপন করে অনুমোদন দেয় কমিটি।

গত ৩ মে বৈঠকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কমদামে নিম্নমানের দুধ কিনে কন্ট্রামিনেশন (ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে) করে বাজারে বিক্রি করছে যা, জনসাধারণকে জানানো দরকার।

সংসদ সদস্য শাহে আলম বলেন, বেসরকারি দুগ্ধ সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান বাজার থেকে কমদামে নিম্নমানের দুধ কেনে। এর সাখে গুড়োদুধ ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করে তা মিশিয়ে বাজারে তুলনামূলক কমদামে বিক্রি করে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব বলেন, মিল্কভিটার বর্তমানে ৪ লাখ লিটার দুধ প্রসেস করার ক্যাপাসিটি রয়েছে। মিল্ক ভিটা গড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে দুধ সংগ্রহ করে কিন্তু খামারিরা খোলা বাজারে ৭০-৯০ টাকা লিটার প্রতি পায়। এ কারণে মিল্কভিটার দুধ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আবার ৫০ টাকার বেশি মূল্যে দুধ কেনা হলে ভোক্তা পর্যায়ে ১০০ টাকা লিটার মূল্যেও পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

খামারি পর্যায়ে দুধের দাম বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি টাকার ভর্তুকির দাবি বৈঠকে তুলেন মিল্কভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু। তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ভর্তুকি দেয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার এখন সকল খাত থেকে ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই সময়ে নতুন করে ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply