প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে ইসি একটা সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে। তবে নির্বাচনের নামে কোনো নাটক মঞ্চস্থ হোক তা তারা দেখতে চাইবেন না।
সোমবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা একটা সংকটের মধ্যে পড়ে গেছি। একটা বড় দল বলছে যে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। আরেকটা বড় দল বলছে নির্বাচন হবে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপি যা দাবি করছে, তা তাদের আন্দোলন ও আলোচনার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এরসঙ্গে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টিও আছে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক এবং তার মাধ্যমে সুন্দর সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। দায়িত্বশীল ও জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হতে হবে। এখানে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’
কাজী হাবিবুল আওয়াল আরও বলেন, ‘নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ না হয়, নির্বাচনের নামে কোনো নাটক মঞ্চস্থ হোক, সেটা আমরা কখনোই দেখতে চাইব না।’
নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইসির অধীন আনার প্রস্তাব বাস্তবায়ন জটিল বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, এর সঙ্গে জটিল সাংবিধানিক বিষয় জড়িত রয়েছে। এটি নিয়ে সব রাজনৈতিক দল নিজের মধ্যে সংলাপ করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে হয়তো কোনো কারণে সেই ক্ষমতা পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেটি প্রয়োজনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।’
সকালে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘বিএনপিসহ কয়েকটি দল আগাম অনাস্থা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। কী বিশেষ সুবিধা নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট হলাম, তা বুঝতে পারছি না। বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা বা অন্য কোনোভাবে নতুন ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনে আসে, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
সিইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেন।