করোনাভাইরাস বেড়ে যাওয়ার কারণে লঞ্চে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন ও ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩১শে মার্চ বুধবার এ বিষয়ে নৌযান মালিকদের সাথে বৈঠকে বসে বিআইডব্লিউটিএ। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে।
একইদিন সচিবালয়ের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুষ্ঠভাবে নৌযান চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিষয়ক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। গণপরিবহনে যেমন ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহনের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে, তেমনি করোনা সময়ের জন্যে লঞ্চের ভাড়াও পুনর্নির্ধারণ করা হবে বলে জানায় প্রতিমন্ত্রী।
যাত্রী পরিবহনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘
সচিবালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়,
১. স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে যাত্রীসহ নৌযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী ওঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. ঈদের আগে ও পরের তিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে।
৪. রাতের বেলায় সব মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। আগামী ১১ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত দিনের বেলায়ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
৫. কোনো ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না।
৬. যাত্রীবাহী নৌযানে সদরঘাট থেকে ঈদের আগে পাঁচ দিন মালামাল/ মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে।
৭. ঈদের পরে পাঁচ দিন অন্যান্য নদীবন্দর থেকে আসা নৌযানে মালামাল/ মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে।
৮. রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করতে হবে।