fbpx

নয় মাস পর চীনে আবারও কাঁকড়া রপ্তানি শুরু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

টানা নয় মাস বন্ধ থাকার পর আবারও চীনের বাজারে শুরু হয়েছে কাঁকড়া রপ্তানি। মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নিয়াজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া রপ্তানির জন্য চীন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। সে সকল শর্ত পূরণের পর ২ জুন থেকে নতুন করে এ রপ্তানি শুরু হয়েছে। এ তালিকায় চীন নতুন করে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করেছে।এরই মধ্যে চীনে পাঠানো হয়েছে কাঁকড়া ও  কুচিয়ার ৩৪টি চালান।

নিয়াজ উদ্দিন বলেন, রপ্তানি করা কাঁকড়া ও কুচিয়ায় সীসা ও ক্যাডমিয়াম ধরা পড়ার পর ২০২০ সালের জুনে চীন কিছু শর্ত আরোপ করে। তখন মৎস্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট  ইস্যু করার মাধ্যমে রপ্তানি সচল করা হয়। পরে সেপ্টেম্বরে এক রপ্তানিকারক জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ধরা পড়ার পর রপ্তানি আবার বন্ধ হয়। বিএম ট্রেডার্সকে এ জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম ও খুলনায় মৎস্য অধিদপ্তরের তিনটি ল্যাবরেটরিতে নতুন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে ১২/১৩টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এখন রপ্তানির সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। আগে চীনের এ ধরনের টেস্ট রিকোয়ারমেন্ট ছিল না। ফলে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ছাড়াই যে কেউ চীনে কাঁকড়া ও কুচিয়া রপ্তানি করতে পারতেন। তাদের নতুন শর্ত অনুযায়ী, ইংরেজি ও চীনা ভাষায় এখন সার্টিফিকেট দিতে হচ্ছে।

করোনার কারণে চীনে কাঁকড়া রপ্তানির বাজারে ধস নামে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলারের কাঁকড়া রপ্তানি হয়। কিন্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তা ১২ মিলিয়ন ডলারে নামে।

বাংলাদেশ থেকে হংকং, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, জাপান, মালয়েশিয়াসহ আরও কিছু দেশে কাঁকড়া রপ্তানি হলেও মূল বাজার চীন। ফলে বাংলাদেশে এই খাতে রপ্তানি ৫০ শতাংশ কমে যায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply