দেশের পথশিশুদের প্রাথমিক পর্যন্ত লেখাপড়া শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তাদের লেখাপড়া শেখানো হবে। একটি শিশুও রাস্তায় থাকবে না, রাস্তায় ঘুমাবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবসকে’ ঘিরে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে দেশের পথশিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের পথশিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ে আসার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার মতো সুযোগ আছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হয়। এটি মূলত বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) কাজ।’
দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া এবং দক্ষতা উন্নয়নের কাজ করে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট ঢাকা বিভাগে ৬৫টি, বরিশাল বিভাগে ২৫টি, চট্টগ্রামে ১১টি, সিলেটে ৫টি, রাজশাহী ২২টি, রংপুরে ৪৭টি খুলনা ১৬টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪টিসহ সারা দেশে ২০৫টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শিশু একাডেমি ১৯৯৩ সাল থেকে ৬৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রাক-প্রাথমিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের সরকারি শিশু পরিবার বাবা-মা নেই, এমন এতিম শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে বাবা-মায়ের পরিচয়হীন শূন্য থেকে সাত বছর বয়সী পরিত্যক্ত, পাচার থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুদের লালনপালন ও সাধারণ শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) নারী ও শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার কাজ করে।