সব কাজ ঠিকঠাক মতো এগোলে আগামী বছরের জুনে অর্থাৎ এক বছর পর পদ্মা সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য চালু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সেতু বিভাগ। এর সাথে, একই দিন ট্রেন চালু করারও লক্ষ্য আছে তাদের।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের সব রোডওয়ে স্ল্যাব বসে গেছে। এতে সেতুটি যানচলাচল উপযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন সেতুর সর্বশেষ খুঁটি জাজিরার ৪২ নম্বর থেকে মাওয়ার কাছের ১৩ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত গাড়িতে আসা সম্ভব। এরইমধ্যে, সেতুতে দুই হাজার ৮৪৭টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়ে গেছে। আর এক হাজার ৩১২টি স্ট্রিনজারের মধ্যে বসানো বাকি মাত্র ১৬টি।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী জানান, ভরা বর্ষাতে পদ্মা যখন উত্তাল থাকবে, তখনও পদ্মার ওপরে সেতুর কাজ চলবে পুরোপুরি। তিনি আরও জানান, মাওয়ার ১ নম্বর পিলার দিয়ে সেতুর বাকি স্ল্যাবগুলো ইয়ার্ড থেকে সড়ক পথে উঠবে। ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের ৩ দশমিক এক চার কিলোমিটারের সংযোগ সেতু দুই লেন করে সড়কে যুক্ত হবে। এরইমধ্যে, তিন ভাগে ছয় লেন যুক্ত হয়ে গেছে।
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে আগামী বছরের জুনেই মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যুগের পর যুগ ধরে যাতায়াতের চরম দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।