পদ্মা সেতু কেবল মাওয়া-জাজিরার দুই তীরের বাসিন্দাদের স্বপ্নের সেতুই নয়। গোটা দেশের কাছেই এই সেতুর বাস্তবায়ন বড় এক বিজয়ের বার্তা।
দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির নকশা করেছে মার্কিন মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম এইসিওএম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সেতুটি নকশা ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়েছে অনেকগুলো নতুন প্রযুক্তি। যেগুলোর রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্মত প্রয়োজনীয় উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা, পরিবেশ ও পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা।
সেতুটির নির্মাণ কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি’ ( সিএমবিইসি)। তবে এটি নির্মাণে বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল নদী শাসনের কাজটিতে। এটিও করেছে চীনের আর একটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। আর সেতুর নদী শাসনের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে।
আর মাওয়া ও জাজিরায় পদ্মার উভয় তীরে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ যৌথভাবে করছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এইচসিএম। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এলাকার পরামর্শক হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কার্স অর্গানাইজেশন।
পৃথিবীর সেতুগুলোর মধ্যে ২৫ তম বৃহত্তম এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার। সেতুটি রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাকে সরাসরি সড়ক পথে যুক্ত করবে। ১৮.১০ মিটার প্রস্ত। দুই স্তর বিশিষ্ট ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ।
চলতি বছর ১০ ডিসেম্বর ৪১ তম ও শেষ স্প্যানটি বসানোর পর দৃশ্যমান হয় পুরো সেতু। আগামী এক মাসের মধ্যেই সেতুর কাজ সম্পন্ন করার একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানান সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম।