fbpx

পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু, যানবাহনের দীর্ঘ সারি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রবিবার(২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতু সব ধরণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

ভোর থেকেই মাওয়া প্রান্তে সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। সেতু পারাপারের জন্য শত শত মানুষ অপেক্ষায় আছেন। পরে নির্ধারিত সময়ে সেই অপেক্ষার পালা শেষ হয়।

প্রথমবারের মত পদ্মা সেতু পারাপার হওয়ায় অনেকেই আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ  করেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে এসেছে কালের সাক্ষী হতে। দীর্ঘ দিনের নদী পথের ভোগান্তির শেষ পদ্মা সেতুকে সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। নির্ধারিত মূল্যে টোল দিয়ে সেতু পার হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল উৎসব। অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন। অনেকে আবার শুধু সেতু পার হওয়ার সাক্ষী হতেই এসেছেন। পদ্মা সেতুতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

সকাল থেকেই দুই প্রান্তের ১৪টি টোল গেট চালু করা হয়। সবকয়টি গেটে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে।

সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, কার ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে।

বাসের ক্ষেত্রে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে- ছোট বাস (৩১ আসন) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা, বড় বাস (থ্রি-এক্সেল) প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা।

শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে নির্ধারিত টোল দেন। দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর জাজিরার অভিমুখে রওনা করে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাংলাবাজার ঘাটের জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply