আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কিংবদন্তী বৃটিশ সাংবাদিক, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সাইমন ড্রিং আর নেই। গত শুক্রবার রুমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে তার আত্মীয় ক্রিস বার্লাস।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর নিধনযজ্ঞের খবর তিনিই বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
প্রখ্যাত এই সাংবাদিকের হাত ধরেই বাংলাদেশে টেলিভিশন সাংবাদিকতা নতুন মাত্রা পেয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি গড়ে তোলার প্রধান কারিগর হিসেবে তিনি পথ প্রদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৫ সালে তিনি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে ১৮ বছর বয়স থেকে কাজ শুরু করেন। ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের সাক্ষী ছিলেন তিনি। অসামান্য অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও। একজন সাহসী যোদ্ধা হিসেবেও সবার কাছে পরিচিত ছিলেন সাইমন ড্রিং।