বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ। অথচ মাঘের শেষে চৈত্রের গরমের হাওয়া টের পাওয়া যাচ্ছে সিনেমা অঙ্গনে। কারণ জায়েদ খানের পৌষ মাস। তবে সর্বনাশের গ্যাড়াকলে পরলেও পরতে পারেন। ঘটনা সহজ, সাধারণ সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণের করা আপিল বিবেচনায় নিয়ে, জায়েদের পদ স্থগিত করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। জায়েদ খানের সাথে তার প্যানেল সঙ্গী চুন্নুর কার্যকরী সদস্য পদও আটকে দেয়া হয়েছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদের পরাজিত প্রার্থী নিপুণ প্রাথমিক অভিযোগ করেছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আপিল বিভাগে, সেখানে রায় আসে জায়েদের পক্ষে। এরপর নিপুণ আপিল করেন সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় বরাবর।তার পরেই জায়েদের প্রার্থিতা স্থগিতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানাজানি হয়। ঘটনার রেশ এখানেই শেষ হচ্ছে না।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান আবার পরিচালক সমিতিরও সভাপতি, নামী পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। গেল কয়েকদিনের কথা আর কার্যকলাপে বোঝাই যাচ্ছে, সোহান আর তার সংগঠনও শিল্পী সমিতির উপর বেজায় ক্ষেপে আছে। আরেক দিকে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় বলেই দিয়েছে, আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত। তাই বলা যায়, জায়েদ খানের ভাগ্য এখন সোহানের হাতে অথবা কলমের খোঁচায় আটকে আছে।
নায়ক-নায়িকাদের নির্বাচনী খেলায় সোহানুর রহমান সোহান এখন রেফারি কিংবা আম্পায়ার, জায়েদ খানকে আউট দেয়া বা লাল কার্ড দেখানো কিংবা হলদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করা, সবই নির্ভর করছে সোহানের ওপর, তিনি আবার জায়েদ ইস্যুতে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন না।
সোহানুর রহমান সোহানের মতো জায়েদ খানের মুখেও তালা। গেল কয়েকদিনে গণমাধ্যমের সামনে নিয়মিত কথা বলা জায়েদের চুপ থাকা কি ইঙ্গিত দিচ্ছে? চাপে আছেন নায়ক? ফিল্মের পর্দার মতো বাস্তবেও নায়কই সবসময় জিতবেন, এটা নাও হতে পারে। সিনেমায় যেমন নায়কের হার-জিৎ নির্ভর করে পরিচালকের ওপর, এখানেও ফিল্মের পরিচালক সোহানই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান, তার হাতেই নায়ক জায়েদের সাধারণ সম্পাদক পদের ভাগ্য।