পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী পদ্ধতি বেগবান করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আগামীতে অর্থ বরাদ্দ দেবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রবিবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ এর আওতায় ডিএসসিসি এলাকায় বাস্তবায়িত ‘পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদারকরণ’ সংক্রান্ত দ্বিমাসিক পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কিছু আর্থিক অপ্রতুলতা রয়েছে। কিন্তু আমরা চাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবকিছুতেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। যেহেতু আমরা স্বয়ংসম্পূর্নতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, সে ক্ষেত্রে আমরা এই পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমেও আরও বেশি সম্পৃক্ত থাকতে চাই। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় পরিবার পরিকল্পনার যে স্থায়ী পদ্ধতি রয়েছে, সেই স্থায়ী পদ্ধতিতে আমরা অর্থ বরাদ্দ দেবো এবং সম্পৃক্ত থাকবো, যাতে করে পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী পদ্ধতিকে বেগবান করা যায়।’
ডিএসসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘নতুন ১৮টি ওয়ার্ড বিভিন্নভাবে পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে আজ থেকে আমাদের এই কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরবৃন্দকে বলব, আপনার আগামীকাল থেকেই এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, যাতে করে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী এই স্বাস্থ্যসেবাটা যথাযথভাবে পায়।’
করোনা মহামারির মধ্যেও যেন জনগণ পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে জনগণ বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে তাপস বলেন, ‘করোনা মহামারির মাঝেও আমাদের জীবন থেমে নেই। বিশ্ব আদৌ করোনা মহামারি থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হতে পারবে কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ধরেই নিতে হবে যে, আমাদেরকে করোনা মহামারীরকে সাথে নিয়ে চলতে হবে। তাই চলমান করোনা মহামারীর মাঝেও আমাদের এই পরিবার পরিকল্পনা সেবা যাতে কোনভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।’