ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় মামলাটি করেন সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল। শুধু তাই নয়, বুধবার(১৬ জুন) বেলা ১২ টায় অমির অফিস থেকে ১০২টি পাসপোর্ট উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় এ মামলা হয়েছে। মামলায় ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীরা হলেন তুহিন সিদ্দিকী অমি, বাছির ও মশিউর।
উল্লেখ্য, অমি পরীমনিকে হত্যা ও ধর্ষণচেষ্টা মামলারও দ্বিতীয় আসামি। মঙ্গলবার তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ক্লাবপাড়ায় অমি একজন পরিচিত মুখ। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন এক সময় বিদেশে ছোটখাটো চাকরি করতেন। এরপর দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন।
অমির ‘সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। এখান থেকেই ১০২ টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এমনকি, এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে নারী পাচারের সাথেও তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সাধারণত অমির টার্গেট থাকে বিত্তশালী ও তাদের বখে যাওয়া সন্তান। এমনকি ঢাকার উত্তরা ও আশকোনায় তাদের একাধিক বাড়ি ও প্লট রয়েছে।
দক্ষিণখানে ‘রঙশালা’ নামে নামে তার একটি রিসোর্ট আছে যেখানে প্রায় প্রতিদিন মদ-জুয়ার আসর বসাতেন তিনি।
সূত্রে আরও জানা গেছে, নাসির ও অমির সিন্ডিকেট আগেও অনেক নারীর ওপর একই ধরনের নিপীড়ন চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয় পরীমনিকে। ঘটনার চার দিন পর রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি।
সেদিনই প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের বাড়ি থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।