fbpx

পরী কাহিনী; প্রেম, বিয়ে ও সন্তানের গল্প

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পরীমনি, এক বিস্ময়কর নারীর প্রতিচ্ছবি। গতানুগতিক নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে তিনি সবসময়ই নিজের পছন্দের জীবন বেছে নিয়েছেন। একের পর এক সম্পর্কে থিতু হতে চাওয়া পরী অবশেষে সন্তানের বাবা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে।

তিন মাসের পরিচয়ে, প্রেম, তারপর বিয়ে,এরপর সন্তান ধারন করার মত এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব সহজ নয় নিশ্চয়ই। কিন্তু পরী সেই সৎ সাহস দেখিয়েছেন।

নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুনিন’ চলচ্চিত্রের শুটিং করতে গিয়েই রাজ-পরীর পরিচয়। এই চলচ্চিত্রের কাজ শুরুর পর থেকেই পরীমনি–রাজকে নিয়ে গুঞ্জন, তারা প্রেম করছেন। কানাঘুষা শেষে ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসলো খবরটি। তবে এর আগ পর্যন্ত নিজেদের মতো করেই জীবন যাপন করে গেছেন তারা।

হাতে ফুল, মুখে মাস্ক, হুইলচেয়ারে বসা পরীমনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। পেছন থেকে হুইলচেয়ারটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। এমন একটি ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন শরিফুল রাজ। ক্যাপশনে লেখা, ‘কনগ্র্যাচুলেশন রাজ, থ্যাংক ইউ পরী।

হাসপাতাল থেকে ফিরে খবরটা শুনে পরীকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেন রাজ। সন্তানের হার্ট বিট অন্তর, সমস্ত দেহ-মন দিয়ে অনুভব করছেন রাজ। এ অনুভূতি লিখে বা বলে বোঝানো যাবে না।  নিজের সন্তানকে জীবনের সেরা উপহার হিসেবেই মনে করছেন তিনি।

পরী কি আসলেই বিয়ে করেছেন রাজকে? এমন জোর গুঞ্জন যখন ভাসছিলো, পরী আশ্বস্ত করেছেন সবাইকে।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেছেন রাজ-পরী। প্রেম হওয়ার ঠিক সাত দিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত নেন তারা। পারিবারিকভাবে রাজের আফতাব নগরের বাসায় বিয়ে হয় তাদের।

দুজন পাগল মানুষের সারা জীবন একসাথে থাকা উচিত এই চিন্তা থেকেই রাজ-পরীর বিয়ের সিদ্ধান্ত। মূলত গুনিন’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে এক অন্য রকম রাজকে আবিষ্কার করেন তিনি। এরপর তাদের প্রেম গড়ায় পরিণয়ে।

শরীফুল রাজ ও পরী সম্প্রতি জুটি হয়ে কাজ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমায়। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়েই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এই শিল্পী জুটির। বর্তমানে পরীর হাতে রয়েছে, রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’, চয়নিকা চৌধুরীর ‘কাগজের ফুল’, অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ চলচ্চিত্রগুলো।

এ বছরই মুক্তি পাবার কথা রয়েছে পরী অভিনীত ‘মুখোশ’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিগুলো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply