fbpx

পর্তুগালের জালে জার্মানির চার গোল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ম্যাচের ১৫ মিনিটে টনি ক্রুসের কর্নার হেড দিয়ে ক্লিয়ার করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সঙ্গে সঙ্গে পর্তুগালের কাউন্টার অ্যাটাক। যে রোনালদো কাউন্টারের জন্ম দিলেন, তিনিই সেটার মধুর সমাপ্তি করলেন। দিয়েগো জোতার পাস থেকে ‘ট্যাপ-ইন’ করে পর্তুগালকে লিড এনে দেন সি আর স্যাভেন। সঙ্গে সঙ্গে জার্মানির বিপক্ষে গোল না পাওয়ার আক্ষেপ ঘোচালেন। তবে সেই গোলের পর রোনালদো কিংবা পর্তুগালের কেউ কি ভেবেছিল, শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস করবে জার্মানরা? নিশ্চয়ই না। তর্কাতীতভাবে ‘ইউয়েফা ইউরো-২০২০’ এর সেরা ম্যাচে জিতেছে জার্মানি। ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ খ্যাত ‘গ্রুপ এফ’ এর ম্যাচে পর্তুগালকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। আগের ম্যাচে হারার পর ১৫ মিনিটেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া, তারপর প্রতিপক্ষের জালে গুনে গুনে চার গোল দেওয়া। একমাত্র জার্মানদের দ্বারাই বোধহয় এটা সম্ভব।

পর্তুগালের জালে জার্মানির চার গোল

ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ৬৭টি ম্যাচ খেলেছে পর্তুগাল, এর মধ্যে মাত্র দুই ম্যাচে চার গোল খেয়েছে তারা। অবাক করা ব্যাপার, দু’টোই জার্মানির সঙ্গে। পর্তুগালের সঙ্গী হয়েছে আরো একটি লজ্জ্বার রেকর্ড, ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে এর আগে কোনো দলই চার গোল খায়নি। পর্তুগালের জালে এক গোল দিয়ে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ইউরোতে গোল করার কৃতিত্ব গড়লেন কাই হাভার্টজ। আর ২০০৬ এর পর পর্তুগালের বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে জার্মানি। সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে চার গোল করে জয়।

পর্তুগালের জালে জার্মানির চার গোল

ছবি: সংগৃহীত

আলিয়ান্জ অ্যারেনায় ম্যাচের শুরুতেই পর্তুগিজ ডিফেন্সে ঝড় তোলে জার্মানি। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে রবিন গোসেন্সের গোল অফসাইডের কারনে বাতিল করে দেন রেফরি। মিনিট পাঁচেক পর কাই হাভার্টজের শট ঠেকিয়ে দেন পর্তুগালের গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিকো। ১৫ মিনিটে জার্মানির কর্নার থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করে পর্তুগালকে উল্টো লিড এনে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গোল খেয়ে সেই গোল শোধ করতে উঠে পড়ে লাগে জার্মানি। বার কয়েক পর্তুগিজ ডিফেন্সে আক্রমণ চালালেও গোল আসেনি ।

৩৫ মিনিটে জার্মানিকে গোলের মুখ দেখান রুবিন দিয়াস। এই পর্তুগাল ডিফেন্ডারের আত্মঘাতী গোলে টুর্নামেন্টে প্রথম গোল পায় জার্মানি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবারো জার্মানির গোল, আবারো আত্মঘাতী। এবার পর্তুগালের হতাশার নাম উইংব্যাক রাফায়েল গুয়েরারো। প্রথমার্ধে জার্মানি আরো দুই গোল পেতে পারতো, তবে সার্জ গানেব্রি-কাই হাভার্টজের সেই প্রচেষ্টা থেকে গোল আসেনি।

বিরতি থেকে জার্মানরা ফিরেছে আরো ধারালো হয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিটের মাথায় আবারো জার্মানির গোল। এবার আর আত্মঘাতী নয়, গোসেন্সের পাস থেকে গোল করেন কাই হাভার্টজ। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা গোসেন্স নিরাশ হননি, মিনিট দশেক পর এই আতলান্তা মিডফিল্ডারের গোলে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মানি।

৬৭ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পাস থেকে দিয়েগো জোতার গোলে ম্যাচ জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছে পর্তুগাল। তবে সময় যত গড়িয়েছে, মনে হয়েছে জোতার গোলে শুধু ব্যবধানই কমেছে। তবে ৭৯ মিনিটে পর্তুগালকে গোলবঞ্চিত করেছে পোস্ট। দুই আত্মঘাতী গোলে দুই গোলের ব্যবধানে হেরেছে পর্তুগাল। এ ম্যাচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো জার্মানি, আর পর্তুগালের অবস্থান তিনে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply