fbpx

পলিশ করে বছরে ২০ লাখ টন চাল অপচয় হয়: খাদ্যমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রতি ১০০ মেট্রিকটন চাল পলিশ করলে ৫ মেট্রিকটন অপচয় হয়। এভাবে বছরে প্রায় ২০-২২ লাখ টন চাল অপচয় হয়।

খাদ্যমন্ত্রী আজ শনিবার (১ অক্টোবর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘চালের যে অংশটি অপচয় হয় তা আটা বা সুজিতে আসে না। অটোমেটিক হাওয়া হয়ে যায়। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী একই চাল চার বার ছেটে চকচকে করে বাজারজাত করেন। ছাটাইয়ের সময় চালের বাইরে দিকের পুষ্টিকর অংশটি অপচয় হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়। চাল পলিশের কারণে চালের দামও বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ীরা এই ক্ষতি ভোক্তাদের ওপর চাপায়। তারা বহন করে না।’

খাবারের পুষ্টিমান নিয়ে সরকার আইন করতে যাচ্ছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইন নিয়ে আসছি। তবু আমাদের সবাইকে সচেতন হবে।

মন্ত্রী বলেন, অনেকে আবার সিল্কি পলিশ করা চাল খেতে চায়। এটাতে পাঁচবার ক্রাশিং করতে হবে। এতে আরও একটন করে কমবে। এতে আর কিছুই (পুষ্টি) থাকবে না। তাই আমরা পলিশ করা চাল খাবো না এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, খাদ্যমন্ত্রণালয় দেশের সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছে। প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে পুষ্টি সচেতন করতে তাদেরকে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অপুষ্টি রোধে নিউট্রিশন ক্লাবের সদস্যরা বিশেষ করে তরুণেরা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

দুদিনের এ নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডে শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ওয়ার্কিং সেশন, নিউট্রিশন প্রতিযোগিতা, সেমিনার, বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন এবং ইনোভেশন ল্যাব কার্যক্রম।

নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডে ৩০টি দেশ থেকে প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply