fbpx

পল্লবীতে খুনের আসামি মানিক বন্দুকযুদ্ধে নিহত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যাকারী মানিক র‍্যাবের সাথে (র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। র‍্যাব বলছে যারা কুপিয়ে হত্যা করেছিল মানিক তার মধ্যে একজন।

আর এই মামলায় গতকাল ২০ মে বৃহস্পতিবার সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

এ বিষয়ে র‍্যাব-৪-এর পরিচালক জানান, গতকাল মধ্যে রাতে মিরপুরের পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় সন্ত্রাসী দলের অবস্থান জানতে পেরে র‍্যাবের টহল দল ওই এলাকায় যান। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি চালায়। র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও বন্দুকযুদ্ধে ওই মমলার আসামি মানিক নিহত হন।

পরে নিহত মানিককে পল্লবীর ওই হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ। মানিকের লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

গত রবিবার ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে খুন হয়েছিলেন সাহিনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় দুইজন তরুণ সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটে পড়েন। তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অপরজন ওই ব্যক্তির ঘাড়ে কোপাতে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত করেই ঘটনা স্থল থেকে চলে যান তারা।

সিসি টিভির ওই ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করেছে র‍্যাব। এঁদেরই একজন মানিক ও আরেকজন মনির। তবে র‍্যাব বলছে, এ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল। তাঁর নির্দেশে স্থানীয় সন্ত্রাসী মনির, মানিক, সুমন ব্যাপারী, হাসানসহ অন্যরা ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেন। এরপর সুমন মুঠোফোনে সাবেক সাংসদ আউয়ালকে জানান, ‘স্যার, ফিনিশ’।

মুঠোফোনের কল রেকর্ড পরীক্ষা করে র‍্যাব বুধবার গভীর রাতে নরসিংদীর ভৈরবে অভিযান চালিয়ে সাবেক সাংসদ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে । এ নিয়ে ওই হত্যায় এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply