পল্লবী দে আর বিদিশা দে মজুমদার। টালিউড শোবিজের এক পথে মিলে যাওয়া দুই নাম। দুজনেই প্রেমিক অন্তপ্রাণ। পেশা ও প্রেমের টানে ছেড়েছিলেন ঘর। শেষ পর্যন্ত দুজনই কেবল ‘প্রেম পেলেন না’ বলেই অভিমানে বেছে নিয়েছেন চির অন্ধকার।
কলকাতার শোবিজে একের পর এক রহস্যময় মৃত্যু। অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যুর দশ দিনের মাথায় এবার মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মাত্র ২১ বছরের জীবনে কি এমন হতাশা, যে নিজেকে শেষ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি?- এই নিয়ে চলছে নানা রকম কথা।
ছবি: সংগৃহীত
বিদিশা তার সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ক্যারিয়ার নিয়ে সমস্যার কারণেই এই পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। অথচ ১০ দিন আগেই, পল্লবীর মৃত্যুতে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, – ‘মানে কি এসব, মেনে নিতে পারলাম না।’ যিনি নিজে পল্লবীর মৃত্যুরহস্য মেনে নিতে পারেননি তাকেই কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল?
পল্লবীর মৃত্যুর পর বিদিশার পোস্ট।
পল্লবীর মৃত্যুর জন্য তার স্বজনরা দায়ি করছেন প্রেমিক সাগ্নিককে। একই রকম বিদিশার মৃত্যু নিয়েও ঘনিষ্ঠজনরা আঙ্গুল তুলেছেন এক তরুণের দিকে। শরীর চর্চার প্রশিক্ষক অনুভব বেরাকে ভালবেসে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন বিদিশা। আর সে জন্যই বাবা-মার সাথে ঝগড়া করে ছেড়েছিলেন ঘর।
বিদিশার বন্ধুদের দাবি, অনুভবের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই আত্মঘাতীর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কারণ বিদিশা জানতেন, একাধিক নারীসঙ্গে লিপ্ত ছিলেন প্রেমিক। কিন্তু ভালবাসার কারণে তাকে ছেড়েও আর থাকতে পারছিলেন না।
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ২১ বছর বয়সেই ফ্রিল্যান্স মডেল হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন বিদিশা দে মজুমদার। সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন কনে সাজতে। তবে বাস্তবে সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই চলে গেলেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোক আর আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে শোবিজ অঙ্গনে।
https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/507182964423772
